দিগন্ত জোড়া লাউ ক্ষেত। সবুজ গাছ তার নিচে ঝুলছে শত শত লাউ। দেখলে চোখজুড়িয়ে যায়। এভাবে প্রথবার লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন ভাবড়াশুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল হাই মোল্লা (৪০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চলমান খরিপ-২ মৌসুমে বসত বাড়ির পাশেই চল্লিশ শতক জমিতে লাউয়ের আবাদ করেছে । তার ক্ষেতের উৎপাদিত লাউ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
লাউ চাষি আব্দুল হাই মোল্লা জানান, গত বছর আমার বাড়ির ছদে লাউ, টমেটা, তরমুজ, শসাসহ কয়েক প্রকার সবজী চাষ করেছি এবার বাড়ির পাশে এই ৪০ শতক জায়গায় লাউ চাষ করেছি আবার অন্য জায়গায় হাইব্রিট কুমড়া চাষ করেছি প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে সেখানেও আল্লাহর রহমতে খুব ভালো ফলন আসা করছি। তবে অনান্য সবজিতে তেমন লাভের মুখ না দেখলেও লাউ চাষে যথেষ্ট লাভবান হতে পাবব এই আশা ব্যাক্ত করেন।
আমার লাগানো লাউয়ের জাত হলো এসিআই ময়না। ৪০ শতকে জমি তৈরি, সার, সেচ, কীটনাশক, পরিচর্যা খাতে আমার ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তাতে প্রতি শতকে ব্যয় হয়েছে ২৫০ টাকা করে। ফলন ভালো হয়েছে। এবার মৌসুমের শুরুতেই আট হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। ৪শ টি লাউয়ের প্রতিটি ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
আশা রাখি এবার লাউ বিক্রি করে এক লাখ টাকা আয় করবো। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং বাজার দর ভালো থাকে তাহলে লাউ বিক্রি করে ব্যাপক লাভবান হতে পারব।
লাউ চাষির ছোট ভাই আবু তাহের বলেন, আমর ভাই ছাদে লাউসহ অনেক প্রকার সবজি চাষ করেছেন ফলন ভালো হওয়ায় ব্যানিজিক ভবে চাষ শুরু করেছে এবার আমাদের প্রায় ৭০ শতক জমিতে লাউ কুমড়া চাষ করেছি আলহামদুল্লিলাহ অনেক প্রতি দিন ১০০ থেকে ১২০টি লাউ বিক্রি করি কুমড়ার অনেক ভালো ফলন দেখতেছি।
লাউ চাষি আব্দুল হাই মোল্লা আরো জানান, আমি প্রথম বার চাষ করেছি ব্যাণিজিক ভাবে তাতে লাভোবান কেউ যদি চাষ করতে চায় অবশ্যই ভালো জমি পছন্দ করতে হবে আর জৈব সারের তুলোনা নাই আমি মানিকগঞ্জ থেকে এনেছি প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ৫০০ টাকা করে । ভালো মানের জীব আর ভালো মানের জায়গা হলে লাউ চাষে লাভোবান হওয়া যাবে ।