প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনব্যাপী বিজয়া দশমী মাধ্যমে শেষ হলো সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শারদীয় দুর্গাপূজা । চÐীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত ২০শে অক্টোবর থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়। পরবর্তী ৪ দিন উপজেলা সহ দেশব্যাপী পূজামÐপগুলোতে পূজা-অর্চনায় ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। তারই আলোকে চলতে থাকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর আউলিয়া গোস্বামী আশ্রম মন্দিরের সাজানো শারদীয় দূর্গাপূজার উৎসব। এরপর কঠোর ও কঠিন ভাবে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হলো দেবী দুর্গাকে। পরে, বিকেল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ করা হয় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মধ্যে সুন্দর মনোরম পরিবেশে ৫২খন্ডের দেব-দেবীর মূর্তি নিয়ে সু-সাজে সজ্জিত কামারখালী ইউনিয়নের মছলন্দপুর আউলিয়া গোস্বামী আশ্রম মন্দির সহ উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা । এ দিকে মঙ্গলবার প্রতিটি মÐপ ও মন্দিরে ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা, ধূপ আরতি ও দেবী দুর্গার পূজা-অর্চনায় কেবলই ছিল মায়ের বিদায়ের সুর। এই লক্ষে সোমবার মধুখালী উপজেলার পূজামÐপগুলো পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর -১ আসনের সংসদ সদস্যের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডঃ লিয়াকত শিকদার , সঙ্গে ছিলেন বাগাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খাঁন, ডুমাইন ইউনিনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইলিয়াজ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান মোল্যা, যুবলীগের সেলিম হোসেন সুমন, রেজা শিকদার , আব্দুল্লাহ-মামুন, রইজ শেখ সহ উপজেলার আরও নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। পরপর উপজেলার পূজামন্ডবগুলো পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্ঠামন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও ফরিদপুর -১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদা বেগম কৃক, সঙ্গে ছিলেন মধুখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার মিনা, ডুমাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশিদ আলম মাসুম, মধুখালী উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাধারানী ভৌমিক , মিনি ইসলাম, পৌর কমিশনার নাজমা বেগম , গাজনা ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান আদর আলী , সাংবাদিক সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রমুখ। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায় পরিদর্শনে ছিলেন কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান, কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বিশ্বাস বাবু, সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান চৌধুরী টার্গেট, কামারখালী ইউনিয়ন পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শিশির কুমার চৌধুরী , সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার মিত্র, বাগাট ইউনিয়নে দায়িত্বে বাগাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খাঁন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহান আলী মোল্যা প্রমুখ। সবশেষে জাতীয় হিন্দু মহাসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বপন দে ও পপি দে সঙ্গে নয়ন বিশ্বাস, রইজ শেখ এর উপস্থিতিতে এবং যুব সমাজের সার্বিক সহযোগীতায় মছলন্দপুর আউলিয়া গোস্বামী আশ্রম মন্দিরের শারদীয় দূর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে শারদীয় দূর্গাপূজার উৎসব শেষ করেন অত্র মন্দিরের সভাপতি দুলাল কুমার মিত্র ও সাধারন সম্পাদক সুবল কুমার দত্ত ও কমিটি বৃন্দ সহ প্রমুখ।