গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাত্র ৫০ সেকেণ্ট ঝড়ে ৬০টি পরিবারের ১০০টি বসত ঘর ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে। এতে প্রায় আনুমানিক দেড় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই ঘটনায় প্রায় ৬০টি পরিবারের ৫শতাধিক লোক বাড়ি ছাড়া হয়ে সাইক্লোন শেল্টারসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এঘটনায় কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত আটটার সময় মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বাসুদেবপুর, ডিগ্রীকান্দি, মহাটালী এবং গোহালায় ঝড়ের আঘাতে প্রায় ৬০টি পরিবারের ১০০টি বাড়িঘর ভেঙ্গে তছনছ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চাল নদগ ২০০০ করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ডিগ্রীকান্দি গ্রামের তারেক লষ্কার জানান, রাত ৮টা সময় হটাঠৎ ঝড় আঘাত হানে। এতে আমার বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছি। পরিবারের লোকজন নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছি। সরকারের কাছে আমাদের সাহায্যের আবেদন জানাই।
বাসুদেবপুর গ্রামেন নিউটন বিশ্বাস বলেন, মাত্র ৫০ সেকেন্ট ঝড়ে চোখের পলকে লন্ডভন্ড হয়ে গেলে বস।
উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোস জানান, রাত ৮টা সময় ঝড়টি আঘাত আনে ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কাঁশালিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে। এতে প্রায় ৬০ টি পরিবারের প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক বাড়ি ছাড়া হয়েছে। তালিকা করে তাদের পূর্ণবাসন করার প্রস্তুতি চলছে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন, অনেক নেতা কর্মী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু জানান, গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের তান্ডবে উজানী ও গোহালা ইউনিয়নের ৬০ টি পরিবারের প্রায় ১০০ টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ৩০ কেজি চাল ও নগদ ২০০০ করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান্ডেল টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মুহাম্মদ ফারুক খান স্যার এবং জেলা প্রশাসক জনাব কাজী মাহবুবুল আলম স্যার সার্বক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।