ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি ঘটনায় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিখাটা গ্রামের আইয়ুব শেখ এর পুত্র সামিউল শেখ (২২) ও দুপুরে আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের মকবুল ব্যাপারীর পুত্র আলমগীর বেপারী(২৬) নামের আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে চৌকিঘাটা গ্রামের সামিউল তার মায়ের নাম দিয়ে এনজিও থেকে একটা লোন করে তাকে টাকা দিতে বলে। তখন সামিউলের মা লোন করে টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। পরে সামিউল সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে, সোনাখোলা গ্রামের আলমগীর নামের এক যুবক সকালে পাশ্ববর্তী মুনসুরাবাদ গুচ্ছ গ্রামে তার প্রেমিকার বাড়ি যায়। এ সময় প্রেমিক আলমগীর তার প্রমিকাকে বিয়ে করতে চায়। তখন প্রেমিকা বিয়ে করতে অস্বীকার জানায়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ঐ প্রেমিক ওই প্রেমিকের বাড়িতেই ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাঃ রতন কুমার বিশ্বাস জানান, আলমগীর বেপারী নামের এক রুগী মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তার লাশ পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম জানান, ভাঙ্গায় পৃথক দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আলমগীর নামের এক যুবকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
অপরটি, চৌকিখাটা গ্রামের যুবক সামিউলের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশে বিনা ময়না তদন্তে তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।