সম্প্রতি সময়ে ফরিদপুরে বেড়েছে বাল্যবিয়ের হার। গত এক সপ্তাহে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তিন থেকে চারটি বাল্যবিয়ে পন্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ও শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুইদিনে জেলা সদর ও সালথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী (ভ‚মি) কমিশনারের (এসিল্যান্ড) হস্তক্ষেপে দুইটি বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর এলাকার বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও লিটন ঢালী।
এ বিষয়ে ইউএনও লিটন ঢালী বলেন, জরুরি সেবা নম্বর ৩৩৩ হতে তথ্য পেয়ে পৌরসভার মামুদপুর এলাকায় গিয়ে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে এসিল্যান্ড মো. শাহাদত হোসেন হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের হাসান মীর তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহাদত হোসেন বলেন, রাহুতপাড়া গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশের একটি টিম নিয়ে ওই বাড়িতে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে কনের একটি জন্মসনদ দেখানো হয়। সেখানে কনের বয়স ১৮ বছর বেশি।
তিনি আরও বলেন, তবে কনের বড় বোনের জন্মসনদ ঘেঁটে দেখা যায় তাদের দুই বোনের বয়সের পার্থক্য মাত্র তিন মাস। এতে ধারণা করা হয় জন্মসনদের কাগজ হয় ভুয়া, নয়তো তথ্য গোপন রেখে জন্মসনদ করা হয়েছে। পরে উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে কনের বাবার মুচলেকা নিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়।