চাঁদপুর সদর উপজেলা মৈশাদী ইউনিয়নের আদু খাঁর বাড়ির সামনের পরিত্যক্ত মুরগির খামারের পাশের জঙ্গল থেকে এক নারির মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহতের সাথে বেগের ভিতরে থাকা একটি জাতীয় পরিচয় পত্রে মিলে গেলো নিহতের আসল ঠিকানা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সরকার বাড়ির, মুনছার খান, মাতা কমলা বেগম এর মেয়ে শিলা খানম (২৮)। ঘটনার বিবরণে জানা যায় , গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় স্থানীয় কয়েকজন ওই জঙলে গিয়ে শুকনো লাড়কি কুড়ানোর সময় মানুষের হাত ও পা দেখতে পায়। কচু গাছসহ ডাল পালা কিছুটা সরালে নারির মৃত দেহ দেখতে পেয়ে আস পাশের মানুষকে ডাক চিৎকার দিয়ে জড়ো করে। তাৎক্ষণিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ফোন করে বিষয়টি অবগত করলে চাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মুহসিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নারির লাশ উদ্ধার করেন। একই সময় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সহ গ্রাম পুলিশ হাজির হলে হাজারো নারি পুরুষের ঢল নেমে আসে লাশটি এক নজর দেখার জন্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানায় কে বা কারা বুধবার রাঁতে এই নারিকে হত্যা করে লাশটি কচু পাতা ও ডালপালা দিয়ে ডেকে ফেলে যায়। মেয়েটির পড়নে কালো রংঙের টাইস পেন্ট ও কালো বোকড়া পরিহিত ছিলো। সাথে একটি চকলেট কালার বেগ ছিলো। আমরা দেখা মাত্র পুলিশকে খবর দেই। তবে আমরা একে চিনি না।
আর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুহসিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশের প্রাথমিক সুরুতহাল করতে গিয়ে একটি সাইট ব্যাগ পাই। ব্যাগের ভেতরে ওড়না সহ এক সেট কাপর পাই। আর ওই বেগে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে লাশের চেয়ারার সাথে আইডি কাডের চেহারা মিল পাই এবং আইডি কার্ড থেকে মেয়েটির পরিচয় খুঁজে পেয়ে তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জ সদর থানায় বিষয়টি অবগত করে একটি ফেক্স বার্তা পাঠাই। তবে ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যু রহস্য জানা যাবে বলে ওসি শেখ মুহসিন বলেন। তিনি আরও বলেন প্রাথমিক ধারনায় বুঝা যায় একে মেরে লাশ ঘুম করতে এখানে ফেলে রেখেছে।
এদিকে খবর পেয়ে চাঁদপুর পিবিআই অনুসন্ধান টিম ঘটনাস্থল গিয়ে সাড়াশি তদন্ত শুরু করেন। পরিশেষে নিহত শিলা খানমের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কি কারণে একে হত্যা করা হয়েছে তাহা জানা যায়নি এবং উক্ত ঘটনায় কাউকে এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়নি।
গোপালগঞ্জ তার নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম ।