ফরিদপুরের সালথায় আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোস হত্যা মামলায় ১১ বছর পর মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র?্যাব।
গ্রেপ্তারকৃত হলো – মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের সামচু শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান শেখ ওরফে মনির (৪৩) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একই ইউনিয়নের খাগৈড় গ্রামের কাশেম মোল্যার পুত্র সত্তার মোল্যা (৩৭)।
এরমধ্যে গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির এবং দিবাগত রাত ১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সাত্তার মোল্যাকে আটক করে র?্যাব।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় র?্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানান কোম্পানী অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার।
নিহত মলয় বোস সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের বাসা থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সময় ফরিদপুর সদরের রনকাইল এলাকায় প্রতিপক্ষের হাতে নৃশংসভাবে খুন হোন। এ ঘটনার পর ৯ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী ববিতা বোস কোতয়ালি থানায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৯জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া একজনকে দুই বছরের কারাদন্ড এবং অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ জনকে খালাস প্রদান করে আদালত।
এরমধ্যে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন এবং আসামীদের আপিল শুনানিতে বিচারপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি এসএম আব্দুল মবিনের হাই কোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন এবং চারজনকে খালাস দেন। সংবাদ সম্মেলনে র?্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান মলয় বোসের সাথে মনির ও সত্তারসহ তাদের দলের কয়েকজনের সাথে বিবাধের সৃষ্টি হয়। সেই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র দিয়ো কুঁপিয়ে নৃশংসভাবে মলয় বোসকে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা দেশের বিভিন্নস্থানে পরিচয় গোপন করে পালিয়ে বেড়াতো। এমনকি তারা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম পাল্টানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ রুপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।