1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুকসুদপুরে কৃষিকাজ ছেড়ে জুয়ায় মত্ত শ্রমিক, বিপাকে কৃষক গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী সেলিমুজ্জামান সেলিম যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসানের উদ্যোগে ধানের শীষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ রাজবাড়ী যৌথ বাহিনীর অভিযান পিস্তল ও কার্তুজসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেফতার মুকসুদপুরে জাতীয় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কোঅর্ডিনেশন সভা মুকসুদপুরে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে আবারও পূর্বের স্বামীকে হয়রানির চেষ্টা যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : শামা ওবায়েদ সালথায় অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব কৃষক,পাশে দাঁড়ালেন যুবদল নেতা হাসান আশরাফ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত: শামা ওবায়েদ মুকসুদপুরে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেলো ২৯৮৫ কৃষক

গোপালগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী সেলিমুজ্জামান সেলিম

বাঙ্গালী খবর রিপোর্ট
  • Update Time : সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৬৬ Time View

মা-বাবার কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমকে গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আংশিক) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। নেতার মনোনয়নে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা একাট্টা- নির্বাচনে জয়ী করে নেতাকে জাতীয় সংসদে পাঠাবেন তারা। যদিও তাঁর প্রার্থিতা ঘোষণা করাটা প্রত্যাশিত ছিলো, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের নানা প্রোপাগান্ডায় অনেকে নানা কথা বলছিলেন এতোদিন। গত প্রায় ১ বছর যাবত তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের চেষ্টাও করে ঐ পক্ষটি।
নেতাকর্মীদের জন্য সেলিমুজ্জামান সেলিম শুধু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক’ই নন, তিনি নেতাকর্মীদের অভিভাবক হিসেবে পাশে ছিলেন প্রায় ২ দশক। বিগত আওয়ামী শাসনামলে সর্বদা নেতাকর্মীদের পাশে থেকে পেয়েছেন অভিভাবকের মার্যাদা। নেতাকর্মীদের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছিলেন। আস্থা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে সুখে-দুঃখে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম মা-বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম পশ্চিম মাঝিগাতী জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তিনি তাঁর বাবা হাজী মোয়াজ্জেম হোসেন মিলু মোল্লা, মা হাজী ফাতেমা বেগম ও বড় ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।
এ সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে বর্তমান পরিচিত মুকসুদপুর উপজেলায় নেতাকর্মীদের বাইরেও জেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের রয়েছে অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা। সাধারণ মানুষের ও নানা ধর্মাবলম্বীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন তিনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ দেশত্যাগ করলে সারাদেশের মতো মুকসুদপুরেও ভেঙ্গে পড়ে আইন-শৃঙ্খলা। একই দিন গাঢাকা দেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধিসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলার অভ্যন্তরে ভাংচুরসহ লুটপাট শুরু করে দুর্বৃত্তরা। গণরোষের শিকার হয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ। থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনতে মুকসুদপুরের রাজপথে নেমে আসেন সেলিমুজ্জামান সেলিম। দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করিয়ে মুকসুদপুরে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে মুকসুদপুরের সর্বত্র পথসভার মাধ্যমে মুকসুদপুরবাসীকে ধৈর্যধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানান সেলিমুজ্জামান সেলিম। একই সাথে ঘোষণা দেন কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতি কিংবা ভাংচুরের মতো ঘঠনা ঘটলে প্রতিরোধসহ অপরাধীদের আটকের নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর আহ্বানে দলটির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠে। সেলিমুজ্জামানের বিচক্ষণ এমন সিদ্ধান্তে মুকসুদপুরের তাৎক্ষণিক যে রাজনৈতিক সঙ্কট ছিলো তা কেটে যায়। একই সাথে সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্তরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর জুলুম কিংবা নির্যাতনের সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়। এতে করে মুকসুদপুরে ‘পানি ঘোলা করে, মাছ শিকারে ব্যর্থ হয়ে যায় দুর্বৃত্তরা’। মুকসুদপুরের সাধারণ মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তখনি তাদের সময়পোযোগী যোগ্য নেতা খুঁজে পায়। পরে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে। এছাড়া সেলিমুজ্জামান সেলিম অপরাধীদের গ্রেপ্তার, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ ও মাদকের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেলিমুজ্জামান সেলিম একজন মানবিক মানুষ হিসেবে ইতোপূর্বে খ্যাতি অর্জন করেন। দলীয় নেতা-কর্মীর বাইরেও বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। যদিও গত দেড় দশক মুকসুদপুরসহ সারা দেশে মানুষের ভোটাধিকার না থাকায় তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের মধ্যে
গোপালগঞ্জ-১ আসনে সেলিমুজ্জামান সেলিম, গোপালগঞ্জ-২ আসনে বাবর, গোপালগঞ্জ -৩ আসনে জিলানির নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণার আগে এদিন দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এরপর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচনে ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।
এসময় সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো ৬৩টি আসনের সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও এই প্রার্থীরা চূড়ান্ত নন, তবে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট। প্রয়োজনে আমাদের স্থায়ী কমিটি এটা যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রিয় বিভিন্ন পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নির্বাচনে ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে লড়বেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লড়াই করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। দলের সামনের সারির নেতৃবৃন্দের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় নেই দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম।
আগামি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপির ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!