মাদ্রাসার পাঠ চুকিয়ে একটি মসজিদে চাকরি করতেন হাবিব। ফরিদপুর জেলা মডেল মসজিদে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে ইন্টারভিউ দিয়ে মুয়াজ্জিনের চাকরি নেন হাবিব। ৩১শে জুন ২০২৩ চাকরি নিয়ে নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন হাবিব। তবে সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাড়ান ইসলামি ফাউন্ডেশনের ফরিদপুর জেলার সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) শাহাবুদ্দিন। শাহাবুদ্দিনের দূর্নীতিতে সহযোগিতা না করায় মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করান ডিডি শাহাবুদ্দিন। মুয়াজ্জিন হাবিব শেখ জেলার সালথা উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত লাকু শেখের পুত্র।
হাবিব জানায়, মসজিদের কালেকশনের টাকা ডিডি নিজের কাছে রাখেন৷ কিন্তু ডিডি শাহাবুদ্দিন হিসেবে গড়মিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতে চায়। বিষয়টি জানাজানি হলে সেই দোষ হাবিবের উপর চাপায়, হাবিব প্রতিবাদ করায় তাকে ভয় ভীতি দেখান এবং চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এরই সুত্র ধরে গত ৬ জুন ২০২৪ তারিখে আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমি জীবন কাটাচ্ছি। চাকরি হারিয়ে আমি খুব অসহায় ও মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। আমি ক্ষতি পুরনসহ আমার চাকরি ফেরতের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাই।
জেলা মডেল মসজিদের কয়েকজন মুসল্লীর সাথে কথা বলে জানা যায় হাবিব খুব ভালো ছেলে, সে নিয়মিত মসজিতে আজান দিতো। অনেক সময় খাদেমের কাজ করতো, কোন অহংকার ছিলো না। শুধুমাত্র ডিডির রোষানলে পড়ে চাকরি হারিয়েছেন। মুয়াজ্জিন না থাকায় আমাদের মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হয়। হাবিবের চাকরি ফেরত চেয়ে কয়েকদফা আবেদন করেছেন তারা। মুসল্লীরা হাবিব কে চাকরিতে পুনর্বহাল চায়।
জেলা মডেল মসজিদের ঈমাম মাওলানা তবিবুর রহমান বলেন, মুয়াজ্জিন না থাকায় আমার একার খুব অসুবিধা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হলে তাকে আবার চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। তাহলে সবার জন্যই ভালো হবে।
ইসলামিক ফাউণ্ডেশন ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) ইয়াসিন আহমেদ বলেন, আমি যোগদান করার ৬ মাস পূর্বে হাবিব বরখাস্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার রায়ের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।