গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ডিপো বর্তমানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ডিপো এখন যেন “দুর্নীতির ডিপো”তে পরিণত হয়েছে।
কাজ না করেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর
অভিযোগ রয়েছে, ডিপোর বহু কর্মচারী নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং নির্দ্বিধায় বেতন উত্তোলন করেন। ফলে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃত কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করলেও প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না।
পলাতক আসামীর নামও কর্মচারীর তালিকায়!
আরও বিস্ময়কর তথ্য হলো—এই ডিপোতে মার্ডার কেসের পলাতক আসামী কর্মচারী হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন। তারা আইনের চোখ এড়িয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং বেতন গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের ঘটনার কারণে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, বিআরটিসির এই ডিপোকে দুর্নীতির আখড়া থেকে উদ্ধার করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এই সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা আরও কমে যাবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতা
এই বিষয়ে বিআরটিসি টুঙ্গিপাড়া ডিপোর কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“আইনভঙ্গকারী, এমনকি খুনের মামলার আসামীরা যদি সরকারি চাকরির বেতন পেয়ে যায়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের সুনাম কোথায় দাঁড়াবে?”