ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাসিরকে রিমান্ডের নামে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে থানায় বসি চা-বিস্কুট খাওয়ানো হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্র-জনতা।রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর আদালত প্রাঙ্গণে শ্রমিক নেতা নাসিরের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা ও পরিবহণ শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন, নাসির শ্রমিকদের প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়া তিনি বাস মালিক গ্রুপের দুটি গাড়ি বিক্রির ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ভাঙায় মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের ১১ শতাংশ জায়গা এবং দোকান বিক্রির ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মুখোমুখি।জানা যায়, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকার পল্লবী থানার গাজীর মসজিদ এলাকা থেকে নাসিরকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরের দিন ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ফরিদপুর ১নং আমলি আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ এলাহি।জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিলুপ্তি কমিটির সদস্য সচিব সোহেল রানা অভিযোগ করেন, “ফরিদপুরে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলার প্রধান হোতা ধরা পড়েছে।
কিন্তু প্রশাসন জনগণকে আইওয়াশ করছে। থানার ভিতরে রিমান্ড মানে ‘জামাই আদর’ করা হচ্ছে। আমরা চাই, রিমান্ডে নেওয়ার পর তার হাত-পা ঠিক আছে কি না দেখা হোক।
” তিনি নাসিরের দ্রুত বিচার ও ছাত্র আন্দোলনে জড়িত সকল হামলাকারীর গ্রেফতারের দাবি জানান।মানববন্ধনে জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মানা, মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াছিন মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী ইবনে ইলিয়াসসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।