ফরিদপুরের সালথায় প্রসাবখানা নির্মাণ কে কেন্দ্র করে শিক্ষককে মারধর ও শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর পশ্চিমপাড়া আস-সুন্নাহ নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকয়েক বছর আগে জমি ক্রয় করে মাদ্রাসা নির্মান করেন কারী হারুন অর রশীদ, এর বছর খানেক পর সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম (৪০)। মাদ্রাসার সীমানা প্রাচীরের মধ্যে প্রসাব খানা নির্মান কে কেন্দ্র করে ঝর্ণা বেগম রবিবার মাদ্রাসার জানালা বন্ধ করতে শুরু করেন, এতে বাধা দিলে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ জসীম কে কাস্তের ঘাড়া দিয়ে আঘাত করলে তিনি আহত হন, এছাড়াও তাকে মারধর করেন ঝর্ণা বেগম। এরপর শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে দেন। এসময় মাদ্রাসার মোহতামিম কারী হারুন অর রশীদ উপস্থিত ছিলেন না। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ঝর্ণা বেগম গোপনে তালা খুলে ফেলেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝর্ণা বেগম খুব ধুরন্দর মহিলা, তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। সে তার বাবার এলাকায় জমি কিনে বসবাস করছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে সে সংরক্ষিত নারী সদস্য ছিলো। তার হাত থেকে স্বামী, বাবা-মা, ভাই-বোন, পাড়া প্রতিবেশী কেউই রেহাই পায় নাই। কথায় কথায় পাড়া প্রতিবেশীদের নামে মামলা করেন। প্রতিনিয়ত সবাইকে থানা পুলিশ ও মামলা হামলার ভয় দেখান। পবিত্র কোরআনের সুর তার ভালো লাগে না। সে তো ফেরাউনের চেয়ে খারাপ। মাদ্রাসার একজন ওস্তাদ কোরআনে হাফেজ কে তিনি মারধর করেছেন, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগম বলেন, আমি প্রসাবখানার গর্ত বন্ধ করতে বলি কিন্তু তারা বন্ধ করে না। এজন্য আমি মাদ্রাসার ঝাপ বন্ধ করতে গেলে হুজুর আমার হাত ধরে কিন্তু ছাড়ে না, তখন আমি কাস্তের ঘাড়া দিয়ে কয়েকটা বাড়ি দেই। এরপর মাদ্রাসার ছোট হুজুর আমাকে বেফাঁস কথা বলায় আমি মাদ্রাসায় তালা দিয়েছি।
এই বিষয়ে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।