1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন

মুকসুদপুরে অপহরনকারী দপ্তরিকে বাচাঁনোর চেষ্টা প্রধান শিক্ষকের

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • Update Time : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ২৪৭ Time View
সাংবাদিকের সামনে বসেই ছুটি শেষ হওয়ার তিন দিন পরে ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর করছেন প্রধান শিক্ষক স্মৃতি বিশ্বাস

ছুটি শেষ হওয়ার তিন দিন পর ছুটির আবেদনে স্বাক্ষর

 

গোপালগঞ্জেরে মুকসুদপুরে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগ উঠেছে ২৬ নং দুর্বাশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি সরজিৎ এর বিরুদ্ধে।
অপহরন কারি মন বিশ্বাস উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাশুর গ্রামের হরিপদ বিশ্বাসের ছেলে ও ২৬ নং দুবাশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি সরজিৎ একই গ্রামের স্বপন বিশ্বাসের ছেলে।
অপহরনকারি সরজিৎকে বাচাঁতে তার পক্ষে সাফাই গাইছে ২৬ নং দুর্বাশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্মৃতি বিশ্বাস। গতকাল রোববার (২০ জুলাই) সরজিৎ এর সাথে কথা বলতে ২৬ নং দুর্বাশুর প্রাথমিক বিদ্যলয়ের গেলে দেখাযায় তিনি প্রায় ১৫ দিন যাবৎ স্কুলে উপস্থিত নেই।
সরজিৎ কোথায় আছে ঔ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরজিৎ নিয়মিত স্কুলে আসে এখন টিপিন এর সময় তাই বাড়িতে গেছে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলছে ভিন্ন কথা ১৫-২০ দিন সরজিৎ স্কুলে আসে না এবং স্কুলের পরিষ্কার পরিচ্ছতার কাজ শিক্ষার্থীদের দিয়ে করায়।
সচেতন মহলের দাবি পরিষ্কার পরিচ্ছতার কাজ যদি শিক্ষার্থীরা করে তাহলে স্কুলে দপ্তরির কি দরকার?
সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজের ব্যাগ থেকে একটি দরখাস্ত বের করে বলে সরজিৎ ছুটিতে আছে বলে ছুটির আবেদনে তিনি স্বাক্ষর করে। দরখাস্তটি পড়ে দেখা যায় গত ১৫, ১৬, ১৭ জুলাই ছুটি চেয়ে আবেদন করেছিলেন সরজিৎ কিন্তু এখন স্বাক্ষর করলেন কেন প্রশ্ন করলে মনে ছিলো না বলে এড়িয়ে যায়।
আবার হাজিরা খাতায় দেখা গেছে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সরজিৎ উপস্থিত ছিলেন এটা কিভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি রেগে যায় আর বলেন , আপনারা যা দেখেছেন তাই লেখেন আমার এলাকার ছেলে তাই আমি একটু বাচানোর চেষ্ঠা করছিলাম বলে সব কিছু স্বীকার করেন।

 

পরে স্কুলের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখে মনে হয় পুরো স্কুলের ক্লাশ রুম গুলো যেন ময়লা-আর্বজনার ভাগাড়ে পরিতন হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২১ জুন অনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার গায়েন্দা গ্রামের দক্ষিন পাড়া থেকে দুর্বাশুর গ্রামের আশুতোস বালার মেয়ে ফালগুনি (১২) কে অপহরন করে নিয়ে যায়। গত ৫ জুলাই নারি ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগি আশুতোস বালা। মামলার ১ নং আসামি পলাতক ও ২ নং আসামি ২৬ নং দুর্বাশুর প্রাথমিক বিদ্যলয়ের দপ্তরি।
এ বিষয়ে ২৬ নং দুবাশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এটিও বিকাশ মল্লিক বলেন, এ ব্যাপরে আগে থেকে কিছু যানি না আগামীকাল স্কুলে গিয়ে তদন্ত করে বিষটি আমার উর্ধর্তন কর্মকর্তাকে জানাবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!