ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রভাব বিস্তার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, আইন ও বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়িত থাকা এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা সহ যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের পেশাগত ও জনপ্রিয়তার ইমেজকে সংকটে ফেলতে এবং হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এমনকি এ নিয়ে নামে-বেনামে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। এমনকি বানোয়াট অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে ও নামে-বেনাম দায়ের করা বানোয়াট অভিযোগে দাবী করা হয়েছে যে, “উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার) আইন নীতিমালা পরিপন্থী কাজ করে চলেছেন। তিনি ফৌজদারী অপরাধেও জড়িত। সংশ্লিষ্ট আইন ও ধারায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।” এছাড়াও পৃথক একটি দৈনিকের মিথ্যা সংবাদে জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরা হয়। এতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ৩নং আলফাডাঙ্গা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল -মর্মেও বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়।
তবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে আমাদের অনুসন্ধানে উপরোক্ত কোন অভিযোগের সঙ্গেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। করা হচ্ছে নামে-বেনামে মিথ্যা অভিযোগও। স্থানীয়দের দাবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো একেবারে ভিত্তিহীন। ওই চেয়ারম্যান ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী অনেক আগেই রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাকে খুব একটা সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার কাছেই একজন গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনীতির বাইরে থাকা এই ইউপি চেয়ারম্যানকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ কোটা সংস্কারের দাবিটি যৌক্তিক হওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওই চেয়ারম্যানের সমর্থন ছিল। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যক্তি স্বার্থে চেয়ারম্যানকে কতিপয় ব্যক্তিরা হয়রানির চেষ্টা করছেন।
গণমাধ্যমের সামনে আসা ও আনিত অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল। এতে তিনি বলেন, “একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অনুরোধ করছি অসত্য তথ্যসম্বলিত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন না করতে।”
আইন উপেক্ষা প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, “দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়া, ভূমিদখল, বৃক্ষ নিধন সহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। সরকার আমাকে গেজেট দিয়েছে। তাই আইন অনুসারে নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সহিতই সকল কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এগুলো কি অপরাধ না? সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কেও সবার জানা উচিত, মানা উচিত। দেখা যাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।”
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। -এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। শুধুমাত্র আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা হতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না। প্রয়োজনে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোহরাব হোসেন বুলবুল একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি জয়লাভ করেন। জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। অপরাধ, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান জিরো টলারেন্স।