ফরিদপুরে অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না জুলাই বিপ্লবে আহত সাজিদ মণ্ডল নামের একজন শিক্ষার্থী।ঠিকমতো ওষুধ কেনার অর্থও নেই বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জেলা সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুরে তার বাড়ি। ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাজিদ দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। তার পিতা জাহাঙ্গীর মন্ডল একজন ইজিবাইক চালক।
গত বছরের ৪ আগস্ট সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেন সাজিদ। থানা রোডে এসে সাউন্ড গ্রেনেড আর কাঁদানে গ্যাসের শিকার হন। আত্মরক্ষার জন্য হিতৈষী স্কুলের দিকে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার শিকার হন তিনি।তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সদস্যরা। এতে তার শরীরে থেঁতলে যায় এবং হাত-পা ভেঙে যায়। সঠিক চিকিৎসার অভাবে এখন বিছানায় কাটছে তার দিন-রাত।
জেলা সদরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, সাজিদের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ খবর নিয়েছি, পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। এখনো তারা কোনো মামলা করেনি। হামলা যারা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছে।‘হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া সাজিদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পরবর্তীতেও খোঁজখবর রাখা হবে,’ বলেন তিনি।
সাজিদের বাবা জানান, সাজিদ আহত হওয়ার পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তার ডান হাতের আঙুল, বাম হাতের মাঝ বরাবর ও ডান পায়ের গোড়ালির থেকে টাকনুর মাঝামাঝি ভেঙে গেছে। হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচার করে রড ঢুকিয়ে দিয়েছে। রিলিজের পর এখন বাসায়। তিন-চার মাস পর রডের স্ক্রু খুলতে হাসপাতালে যেতে হবে। এক বছর পর বড় একটি অপারেশন করতে হবে।সাজিদের বাবার ভাষ্য, ‘হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সাজিদের দশা খুবই করুণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসা ব্যয় মিটছে না। পথ্য মিলবে কীভাবে? পুষ্টিহীনতার শিকার সাজিদের হাড়গোড় বেরিয়ে গেছে।’