ফরিদপুরের সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামের স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্মাণ করা একটি এইচবিবি (ইটের) সড়কের ইট তুলে বিক্রি করার সময় এলাকাবাসী আটকে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, দুর্গম পদ্মার চরের মানুষের জীবন যাত্রায় স্বস্তি ফেরাতে কয়েক বছর আগে নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী চরের কবরস্থান মসজিদ থেকে পালডাঙ্গী পর্যন্ত এইচবিবি (ইটের) সড়ক নির্মাণ করা হয়। কয়েকদিন ধরে সেখান থেকে ইট তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. আসলাম শেখ জানান, ফরিদপুর নদী বন্দর এলাকার প্রভাবশালী মো. আলম শেখের মদদপুষ্ট মো. হান্নান মাতুব্বর ইটগুলো প্রতি হাজার সাড়ে ছয় হাজার টাকায় স্থানীয় মো. ইউসুফ নামের ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। শনিবার ইট ট্রলারযোগে বন্দরে নিয়ে আসলে আমরা সরকারি ইট বুঝতে পেরে আটকে দেই। বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
ইটের একজন ক্রেতা মো. ইউসুফ জানান, তিনি ইটগুলো হাজারপ্রতি সাড়ে ছয় হাজার টাকা দামে হান্নান মাতুব্বরের কাছ থেকে কেনেন। ইটের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও সম্পূর্ণ টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। এ ছাড়া লেবার সরদার মো. হালিম জানান, হান্নান মাতুব্বর তাকে ইট নিয়ে ঘাটে নামিয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি করে। আমি লেবার দিয়ে সেগুলো নদীর ওপার থেকে এপারে নিয়ে আসি।
যদিও হান্নান মাতুব্বর এ অভিযোগ অস্বিকার করেছেন। গত দুই দিন যাবৎ রাস্তার ইট গুলো তুলে এক ট্রালার নিয়ে যায় বাকী ইটগুলো চুরির সময় বাধা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
আর আলম শেখ জানান, ইট লুটের ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। এ ঘটনার সাথে আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হচ্ছে।
ডিগ্রীয়চর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার হায়দার আলী খান জানান, নদীর উপরে বেশ কিছু দিন যাব ভাঙন শুরু হয়েছে। ইটের তৈরি একটি রাস্তার বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। সে সময় কিছু ইট উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের আনা হয়েছিল। বর্তমানে কে বা কারা সরকারি রাস্তার ইটগুলো আবার তুলে বিক্রি করছে জানা নেই। তবে আজ রবিবার সকালে সিএন্ডবি ঘাটে ইট জব্দের সংবাদ পেয়ে আমি প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করি।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদউজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ইটগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইট বিক্রেতাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে