বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফরিদপুর জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে বিভাগীয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ—সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ—সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ন আহবায়ক এ বি সিদ্দিক মিতুল, রাজবাড়ী মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র—জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়। তারা বলেন দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন। দেশে একাধিক ভোটার বিহীন নির্বাচন হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে প্রায় ১০ হাজার লোক আহত হয়েছে। সারাদেশে বিএনপির প্রায় ৪২২ জন লোক মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। গত ১৭ বছর শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করেছেন জেলে পাঠিয়েছেন। তারা কারাবরণ করেছেন। আমাদের প্রতিদিনই আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে। গত ১৭ বছর আমরা গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছি। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব এজন্যই দেশে গণতন্ত্র আনার জন্য এ আন্দোলন করেছি। আগামী দিনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা থেকেই জাতীয় সরকার গঠিত হবে। গত দুই মাসে যে সমস্ত ব্যক্তি সরকার বিরোধী আন্দোলনে আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই মর্যাদা দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তিনি এখন বিদেশে রয়েছেন ।
ইনশাল্লাহ আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মুক্ত করে আনবো। আগামী দিন জাতীয় সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা সরকারের লুন্ঠিত টাকা দেশে ফেরত আনা হবে বলে লুন্ঠিত জানানো হয়। এর আগে বৈষম বিরোধী এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি শহরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে শুরু হয়। এর আগে সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মিছিল সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়।