রাজবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’—এর ফরিদপুরে স্টপেজের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির গতিরোধ করে বিক্ষোভও করেছেন। রবিবার ভোর ৫ টা ১৫ মিনিট থেকে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। রাজবাড়ী থেকে ভোর পাঁচটা ৪০ মিনিটে ফরিদপুর এসে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটির সামনে অবস্থান নিয়ে সেটির গতিরোধ করেন। এসময় তারা ফুল দিয়ে ট্রেনের পরিচালকসহ অন্যদের শুভেচ্ছাও জানান।
বিক্ষোভের মুখে প্রায় দশ মিনিট ট্রেনটি থেমে থাকে। পরে অবস্থানকারীরা সরে গেলে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এর আগে অবস্থান কর্মসূচিতে স্থানীয়দের পক্ষে বক্তব্য দেন— রেল আন্দোলন কর্মী আবরার নাদিম ইতু, শরিফ খান, তুহিন বিন আলমগীর, আশিষ কুমার কুন্ডু, সেলিম মিয়া, আলী মকিম, ইকবাল হোসেন, সোহান, আরিফ শেখ প্রমুখ। বক্তারা রেল যোগাযোগ চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালুর মাধ্যমে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো— ফরিদপুরের উপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা এ সময় অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ করার দাবি জানান। এদিকে, বিক্ষুব্ধদের অবস্থানের মুখে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের পরিচালক মহিবুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমিকর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা হয়তো আজই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাবেন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে রাজবাড়ী—ভাঙ্গা—ঢাকা পথে রবিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে নতুন করে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। তবে মাঝপথে ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো যাত্রাবিরতি না থাকায় এ নিয়ে ফরিদপুরের রেলযাত্রীদের মাঝে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।