গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার সমর্থকদের উপর হামলা করে নৌকা প্রতীকের সমর্থক মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদের লোকজন। হামলায় নারীসহ ২০জন আহত হয়েছে। এসময় ৩টি দোকান ও ৮টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের শুয়াশুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর মোসা: লাকিয়া বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেন মামলা নং ২৬ ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/৫০৬ ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।
১। আসামী এমদাদ মোল্ল্যা ২। মনির মোল্ল্যা ৩। এনামুল মোল্ল্যা ৪। তোফায়েল হোসেন ৫। সেন্টু মোল্ল্যা ৬। মানু শেখ ৭। বাবলু শেখ ৮। বিকাশ শেখ ৯। মিটুল শেখ ১০। সুজন শেখ ১১। কামরুল শেখ ১২। হায়দার মোল্ল্যা ১৩। মিজান সরদার ১৪। রুবেল শেখ। মামলার ১ নং আসামী এমদাদকে আটক করেছে পুলিশ। মুহুতেই সামাজিক যোগাযগ মাধ্যম ফেসবুকে মোচনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ে ।
মুকসুদপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান সংঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এমদাদ মোল্ল্যাকে ধরে আনে। পরে মামলা রজু হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
নৌকার সমর্থকদের এই হামলার তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানন সচেতন মহল। তারা মনে করছেন হামলার কারণে নির্বাচনের ফলাফল নৌকার প্রার্থী মুহাম্মাদ ফারুক খানের বিপক্ষে ঘুরে দাড়াতে পারে, মুহাম্মাদ ফারুক খান সবসময় বলে আসছেন নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে গোপালগঞ্জ ১ আসনে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। তার পরেও এমদাদের মত কিছু বিদ্রহী নেতার কারনে নির্বাচনে আচরন নষ্ঠ হয় ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষর ঘটনা ঘটলেও প্রচার-প্রচারনায় পিছিয়ে নেই কেউ। বিভিন্ন উন্নয়নের কথা বলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে নৌকার প্রার্থী মুহাম্মাদ ফারুক খান। ওপর দিকে এমপি নির্বাচিত হলে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করবে বলে জনগণের কাছে কথা দিচ্ছেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার মোচনা ইউনিয়েনর ডুমরিয়া গ্রামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ কাবির মিয়ার ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে কথাকাটাকাটি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় নারীসহ ২০জন আহত হয়। এসময় সংঘর্ষকারীরা ৩টি দোকান ও রাজ্জাক শেখ, মারুফ শেখ, নওসার শেখ, রবিউল শেখের বাড়িসহ প্রায় ৮ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে । মারাতœক আহত রুবেল শেখ (৩৫), ফিরোজ শেখ (৬৫), বিপ্লব শেখ (৩০), শামিম শেখ (৩৫), রসুল শেখ (৩০),তানিয়া আক্তার (২২), কাদু শেখ (৫০)সহ প্রায় ২০জনকে মুকসুদপুর ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয় ।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম জানান, নৌকা ও ঈগলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোচনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ মোল্লাকে থানায় আনা হয়ে ছিল এখন গ্রেফতার করা হয়েছে।