গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
বাঙ্গালী খবর রিপোর্ট
-
Update Time :
শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩
-
২৫২
Time View
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ ১ আসনে ৬ জন মনোনয় পত্র জমা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করেছেন। সর্বশেষ তথ্য মতে রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করেছেন ৬ জন। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুহাম্মদ ফারুক খান, স্বতন্ত্র কাবির মিয়া, জাতীয় পার্টির সহিদুল মোল্লা, জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন, বিএনএফ (তৃণমুল বিএনপি) জাহিদুল ইসলাম, এনপিপির শেখ মো: আবদুল্লাহ।
এই ৬ প্রার্থীর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জেলা রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শেখ মো: আবদুল্লাহ এবং দেলোয়ার হোসেন । অন্যরা বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর মুকসুদপুর সহকারি রিটানিং অফিসারের কাছে জমা দিয়েছে। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কারী নাজমুল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও তিনি তা জমা দেননি। মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে মুকসুদপুর উপজেলা সদরে রাজনৈতিক নেতা কমীর্দের উপস্থিতি ছিল চখে পড়ার মতো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ—১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাবির মিয়া, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সহিদুল মোল্যা। জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন তৃণমূল বিএনপির জাহিদুল ইসলাম । তারা পাচ জনই আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: কাবির মিয়া। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিসহ মোট ৮জন নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। কিন্তু ৬ষ্ঠবারের মত মুহাম্মদ ফারুক খান দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য সকলে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম ইমাম রাজী টুলু’র কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া মুকসুদপুর পৌরভার কমলাপুর গ্রামের মিয়া পরিবারের সন্তান। নির্বাচনী এলাকার ভোটোরদের সমাবেশে তিনি বলেন ‘এই পাঁচ বছরে আপনাদের জন্য যা করেছি, উপকার করতে না পারলেও কারোর ক্ষতি করি নাই। সুতরাং আমার ভোট গত নির্বাচনের চাইতে অনেক বেশি আছে। শুধুমাত্র ভোট আমাদেরকে আনতে হবে, আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। আশাকরি সকল কিছু প্রতিহত করে আমরা নির্বাচিত হবো’।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাহিদুল মোল্যা কাশিয়ানী উপজেলার বাঐখোলা গ্রামের হারুন অর রশীদ মোল্যার সন্তান। তিনি পেশায় আইনজীবি। তিনি জাতীয় পার্টি সমর্থিত জাতীয় আইনজীবি ফেড়ারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি নির্বাচিত হলে তার এলাকার কোন লোক বেকার থাকবে না। সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী ইসতেহার বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান। জাকের পার্টি মৎসজীবি ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করে নির্বাচনী মাঠে আছেন। তার গ্রামের বাড়ী দিগনগর ইউনিয়নের ভাজন্দি গ্রামে। নির্বাচন জয়লাভ বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী। তার ভাষ্যে ‘৫২ বছরে বাংলার জনতা কোন সেবা পায়নি। পীরের দোআয় জনতা তাকে ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে পাঠালে দেশের সকল রকমের উন্নয়ন করবেন। তিনি গোপালগঞ্জ রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম। তার পিতার নাম লুৎফর রহমান, গ্রাম তরশ্রীরামপুর, ইউনিয়ন মহরাজপুর, উপজেলা মুকসুদপুর গোপালগঞ্জ।
বর্তমানে তিনি গাজীপুরে ব্যবসা করেন। তার দল সারাদেশে মনোনয়ন দেয়ায় তার জš§স্থান থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় নেতা কমীর্দের নিয়ে ভোটের মাঠে ক্যাম্পেইন করে যাবেন। জয় লাভ করলে উন্নয়নের গতি চলমান রাখতে সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি প্রার্থী শেখ মো: আবদুল্লাহ গোপালগঞ্জ জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয় পত্র গ্রহণ এবং সেখানে জমা দেন। মুকসুদপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, আসান্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে ২১৫ গোপালগঞ্জ— ১ (মুকসুদপুর—কাশিয়ানি অংশ) থেকে মোট সাতটি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে। তার মধ্য চারটি আমাদের এখানে জমা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা রিটানিং অফিসে ২ টি জমা হয়েছ। মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে। দলীয় প্রার্থী ৫ জন এক জন স্বতন্ত্র।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
Please Share This Post in Your Social Media
More News Of This Category