1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। মধুখালীতে ইউপি সদস্য সেলিম শিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ইয়াবা ও গাঁজা সেবনরত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার প্রতারক আকাশ বরের বিয়ে ব্যবসা: তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর সদরপুরে অবৈধ মাছ ধরায় ২২ জেলের কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার মিটার জাল জব্দ ফরিদপুরে ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষ ‌ও সুবিধা ভোগীদের সরঞ্জাম ‌দিলেন জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জে বিশ্ব মান দিবস পালিত সদরপুরে যাত্রী বেশে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় আটক- ১ সদরপুরে মা ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন

মুকসুদপুরে এক শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রাসেল শেখ
  • Update Time : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১০৪৩ Time View

 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাগুমৃধা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা ও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা মুক্তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে নিজ বাড়িতে বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যআয় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ওই দম্পতি।

এসময় কৃষ্ণাদিয়া বাগুমৃধা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা নিজের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি মো. গোলাম মাওলা প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণাদিয়া বাগুমৃধা উচ্চবিদ্যালয়, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ।
আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল প্রকার অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটি মহল আমাদের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে সমাজে আমাদেরকে হেয় করতে এহেন কর্মকান্ড করে চলেছে। আমাকে বলা হয়েছে আমি নাকি কোম্পানীর কর্মচারি, চাকুরি করতাম যা সম্পূর্ণরূপে ডাহা মিথ্যা কথা। আমি কোন দিনও কোন কোম্পানীতে চাকুরি করিনি। বিয়ের সুবাদে
আমি নাকি চাকুরি নিয়েছি সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিয়ের আগে আমার চাকুরি হয়েছে। অভিযোগকারী মিতা আহম্মেদ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জনাব বিলায়েত হোসেনর মেয়ে। বিলায়েত হোসেন বিদ্যালয়ের সম্মানিত সভাপতি ছিলেন।
তিনি সঠিক নিয়মে আমাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে আমি বিদ্যালয়ের জমিতে বাড়ি করেছি সেটাও মিথ্যা কথা। আমি নিজে জমি ক্রয় করে বাড়ি করেছি। আমার জমির দলিল সহ মিউটিশন কপি রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বালু ভরাট করা হয়েছে নিয়ম মেনেই, তিন বার সরকারি ভাবে যাচাই-বাছাই করে উক্ত বিল পাস করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের গেট নির্মাণের নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিদ্যালয়ের মাঠে নিজস্ব জায়গায় কোন দোকান নেই। যে দোকান ঘর রাস্তার পাশে আছে তা ব্যক্তি মালিকানা।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভর্তি ও পরীক্ষার ফি’ সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে তা ব্যাংকে সঠিকভাবে জমা করা হয়েছে ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা হয়েছে। তার বিল ভাউচার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা রয়েছে ।
আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ এনেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সঠিক নিয়মেই আমার স্ত্রীর নিয়োগ হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির ব্যাপারে যে অভিযোগ করেছে তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুইনা। অধিদপ্তরে যে অভিযোগ দিয়েছে তা তদন্ত করলে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। আমার বিরুদ্ধে আরও মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে যে, আমার বি.এড সনদ জাল সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিদ্যালয়ের গেটের নামে কোন ধরনের অর্থ বরাদ্দ হয়নি। আমি ১৯৯১ সালে বি.এড পাস করেছি। আমি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে
প্রবেশনাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকুরিতে যোগদান করি। পরে ২০০৯ সালে সনদ উত্তোলন করি।

কমিটি আমাকে যখন নিয়োগ দিয়েছে তখন বিদ্যালয়টি ছিলো জুনিয়র হাই স্কুল। জুনিয়র হাই স্কুলে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় আমাকে সেই ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আমার বিলও হয়েছে।

এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০০০ সালে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো তা ছিলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং হয়রানিমুলক, এক কথায় পারিবারিক দ্বন্দের কারনে এই সব অভিযোগ করা হয়েছিলো।
কারণ মিতা আহম্মেদের বাবা বেলায়েত হোসেন মৃধা ও হাবিবুর রহমান কাজী দুই ভাই। তাদের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে, সেই ক্ষোভেই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য শাহাদত হোসেন সাগর বিদ্যালয়ে যে জমি দিয়েছে তা সঠিক, সে বর্তমানে দাতা ভোটার। তবে অনেক চেষ্টা করেও তার জমি মিউটিশন করা যায়নি। পরে জানা গেছে তার জমি ভি.পি।

বিদ্যালয়ের তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাক্ষর জাল করার কথা বলা হয়েছে তা মিথ্যা কথা ।
তিনি অনিয়মের সাক্ষি দিতে পারেনা কারণ অনিয়মিত ভাবে নিয়োগ প্রদান করেনি, নিয়মিত ভাবে নিয়োগ হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক একক ভাবে নির্বাচন দিয়েছে, এই কথাটি একজন পাগলের প্রলাপ।কেননা সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই বিদ্যায়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে।

পরে তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হবে ইনশাল্লাহ্।

আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। আমার ওপরে হামলা হতে পারে তাই আমার নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করবো।

এ সময় বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক চৈতন্য পাল, মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সিরাজ শেখ, চুন্নু শেখ, হান্নান খান, মনির হোসেন কাজী, কাজী রায়হান হাবিব সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!