ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার রামেরচর গ্রামে জন্ম নেওয়া এক নবজাতকের বাবার পরিচয় নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। সন্তান জন্মের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার বাবার পরিচয় মেলেনি।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমোলচানা সৃষ্টি হয়েছে। কে এই নবজাতকের বাবা প্রশ্ন সচেতন মহলের। নবজাতকের মা ও স্থানীয়ীদের দাবি, একই গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বরের ছেলে হাবিব মাতুব্বর এই নবজাতকের বাবা। কিন্তু হাবিব মাতুব্বরের পরিবারের দাবী, গ্রামের মাতুব্বররা মিথ্যা দোষ দিচ্ছন। সচেতন মহল মনে করছেন এই নবজাতকের ডিএনএ টেস্ট করলে পাওয়া যাবে নবজাতকের বাবার পরিচয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামেরচর গ্রামের ওবায়দুর ফকিরের মেয়ে জান্নাতি ফকিরের চার মাস ১৪ দিন আগে পাশের উপজেলা ভাঙ্গা থানার বালিয়া গ্রামের আসাদ এর সাথে বিয়ে হয়। তবে বিয়ের স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ১০ মাসের এক নবজাতকের জন্ম দেন।
কিন্তু নবজাতক জন্ম নেওয়ার পরে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামি।
আরো জানাগেছে, গত দুই বছর আগে জান্নাতি ও হাবিবকে নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছিল তখন গ্রামের লোক মিলে হাবিবের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছে এই লম্পট হাবিব।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র তর্ক-বিতর্ক।
নবজাতকের মা জান্নাতি বলেন, আমি নদীতে গোশল করতে গেলে পাশের বাড়ির হাবিব আমাকে জোর করে ধরে ঘরে নিয়ে খারপ কাজ করেছে। আমি তখন ভয়ে বাড়ির কাউকে বলিনি।
হাবিবের পরিবার বলেন, হাবিবকে জোর করে ফাসানো হচ্ছে। ডিএনএ টেস্ট করে যদি আমার ছেলে অভিযুক্ত হয় তাহলে অনুষ্ঠান করে ছেলের বউ বাড়ি নিয়ে আসবো।
গ্রামের মুরুব্বি সাঈদ মাতব্বর জানান, “হাবিব অত্যন্ত বদমাইশ প্রকৃতির ছেলে। এর আগেও পাশের গ্রামে একই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত ছিল।”
আরেক প্রবীণ ফারুক মুন্সি বলেন, “ওই ছেলেটার চরিত্র ভালো নয়। গ্রামের শান্তি নষ্ট করছে।”
এলাকাবাসী মনে করেন, “এই ছেলেকে দ্রুত আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। আইনের কঠোর শাস্তি ছাড়া এরকম অপকর্ম থামবে না।
ঘটনাটি নিয়ে গ্রামজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে সন্তানের প্রকৃত পিতৃপরিচয় এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। দ্রুত যেভাবে নবজাতক শিশুর বাবার পরিচয় পাওয়া যায় সেই ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী এলাকাসীর।