ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর (শায়েখে চরমোনাই) মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, শুধু রাষ্ট্রের মানুষ কেন একটা কুকুর বা জানোয়ার না খেয়ে মারা গেলে রাষ্ট্র প্রধানকে জবাবদিহি করতে হবে, কেন সে মারা গেলো? বহু দলের শাসন আমরা দেখেছি, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখি নাই। এদেশে নেতার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নীতি আদর্শের কোন পরিবর্তন হয় নাই। আপনারা দেখেন নাই আগে একদল চাঁদাবাজি করতো, এখন আরেকদল চাঁদাবাজি করে। একদল ধর্ষণ করতো, আরেক দল ধর্ষন শুরু করছে। আগে একদল চুরি করতো এখন আরেকদল চুরি করা শুরু করেছে। শুধু হাতের ও চেহারার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চোরের কোন পরিবর্তন হয় নাই।
রাষ্ট্র সংষ্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ফরিদপুরের সালথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) সালথা ও নগরকান্দা শাখার আয়োজনে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সালথা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এক গণসমাবেশে এইসব কথা বলেন মুফতি ফয়জুল করিম। এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারও নেতৃবৃন্দ মাঠে উপস্থিত হন।
তিনি আরও বলেন, খারাপ মানুষের পরিবর্তে খারাপ মানুষ ক্ষমতায় আনলে হবে না। দুই নম্বর নেতার কাছে দেশ কখনো এক নম্বর হয় না। তাই নেতা না নীতির পরিবর্তন চাই। আপনার ভোট পেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে কেউ খারাপ কাজ করলে আপনার আমলনামায় গুনা জমা হবে। আবার ক্ষমতায় গিয়ে ভালো কাজ সওয়াব লিখা হবে। তাই একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামের বাইরে ভোট দেওয়ার কোন সুজোগ নাই। অন্যন্য ধর্মের মানুষেরা তাদের নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য ইসলামে ভোট দিবে। প্রতিটি নির্বাচনী প্রতিক গরিব মানুষের কিন্তু যারা নির্বাচনে অংশ নেয় কেউ গরিব না। হাতপাখা সবার প্রতিক। আমি বিশ্বাস করি হাতপাখার বিজয় হলে রাষ্টের বিজয় হবে, মানবতার বিজয় হবে। এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। শান্তি পাবেন, মুক্তি পাবেন। ইসলাম এদেশে এসেছে বিজয়ের জন্য।
হাফেজ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, শাকপালদিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মওলানা লিয়াকত আলী, ফরিদপুর জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল ফরিদপুরী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপজেলা সভাপতি শাইখুল হাদিস মুফতি আবু জাফর। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর-২ এর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা শাহ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন।