1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নবীনবরণে নতুন স্বপ্নের আলো : সরকারি মুকসুদপুর কলেজে তারুণ্যের উৎসব যুবদল সবসময় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে – সেলিমুজ্জামান সেলিম ফরিদপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করতে হাসান আশরাফের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল রাজবাড়ীতে মোবাইল কোর্টে মাদকসেবীর কারাদণ্ড মধুখালীতে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার মধুখালীতে নতুন কমিটি পেয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল সালথায় বাসর রাতে যুবকের আত্মহত্যা গোপালগঞ্জে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। মধুখালীতে ইউপি সদস্য সেলিম শিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ইয়াবা ও গাঁজা সেবনরত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার

ফরিদপুরে ২২০ টাকায় পুলিশে চাকরি,পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন

আবুলহাসনাত
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৭ Time View

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ২২০ টাকায় ফরিদপুরে ২৩ জন তরুণ-তরুণী পুলিশ কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। কনস্টেবল পদে সুযোগ পেয়ে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন দেখছেন।

অভাবের সংসারের মাহিন্দ্রা চালক বাবার মেয়ে তন্দ্রা আক্তারী (১৮)। একটি সরকারি চাকরি ছিল তাঁর জন্য দুঃসাধ্য। মাহিন্দ্রা চালক বাবার স্বপ্ন পূরণে আর পরিবারের অস্বচ্ছলতার মাঝে তাঁর যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর মতো এ বছরে ফরিদপুরে আরও ২২ জন মাত্র ২২০ টাকায় সরকারি ফি’র মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের সারথি যেন প্রত্যেকেই।

ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চলতি মাসে পুলিশের কনস্টেবল পদে ফরিদপুর থেকে ১২১১ জন আবেদন করেন। এরপর প্রতিটি কঠিন ধাপ অতিক্রম করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৪৩ জন এবং ২৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন- প্রত্যেকেই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।
তাঁদের মধ্যে তন্দ্রা আক্তারী একমাত্র নারী কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে ফরিদপুর জেলা সদরের ঘনশ্যামপুর গ্রামের তোরাব বিশ্বাসের মেয়ে। তাঁর এমন খবরে হাসি ফুটেছে বাবা-মা সহ আত্মীয়-স্বজন
দের মুখে।
আবেগাপ্লুত হয়ে তন্দ্রা আক্তারী বলেন- একজন মাহিন্দ্রা চালকের মেয়ে পুলিশে চাকরি মানে অনেক কিছু। মানুষ বলাবলি করেছিল টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে না। আমার বাবার পক্ষে ৮/১০ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দেয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়েছে, মাত্র ২২০ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমার বাবার পাশে দাড়াতে পেরে আমি গর্বিত।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে গিয়ে দেখা যায়, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৩ জন একত্রে জড়ো হয়েছে। এ সময় ট্রাক চালক বাবার ছেলে তামীম মন্ডল চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সে জেলা শহরের রঘুনন্দন এলাকার ট্রাক চালক সুমন মন্ডলের ছেলে। মাত্র ২২০ টাকায় চাকরি হওয়ার ও বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প তুলে ধরে সে।
২৩ জনের মধ্যে অধিকাংশের গল্পটা যেন অভাবের সাথে যুদ্ধ জয়ের। মৌখিক পরীক্ষায় বন্ধুর পোশাক ধার করে অংশগ্রহণ করেছিল সিয়াম মোল্যা। তাঁর বাবা লাবলু মোল্যা পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক। অনুভূতি জানিয়ে সিয়াম বলেন- ছোট সময় থেকে স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার। বাবার সাথে কৃষি কাজ করে পড়ালেখা করেছি৷ তাই আজ আমার মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, এ সাফল্য আমার বাবার হাত ধরেই পেয়েছি।
এসব বিষয়ে কথা হয় ফরিদপুরের পুলিশ ট্রেইনি কনস্টেবল পদের নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলের সাথে।
তিনি বলেন, পুলিশের নিয়োগে অনেক সময় নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলেও ফরিদপুরে মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা কারও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে নিয়োগও দিইনি। যারা নিয়োগ পেয়েছে প্রত্যেকেরই মেধা ও যোগ্যতার অনুসারে দেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!