জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর রমজান মোল্লা (১৫) নামের এক ‘শিশু’কে সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ এনে সাজানো মামলায় আসামি করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে মামলা দায়েরের আগে কোনো তদন্ত হয়নি বলে দাবি করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে।
শিশুর বাবা রবিউল মোল্যা জানান, গত ৮ মাস যাবত সাড়ে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশি আনিছ মোল্যার সাথে বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত ছাড়াই শিশু রমজানকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। একই দিন মামলা দায়ের শেষে পরের দিন আদালতের মাধ্যমে শিশু রমজানকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমান ওই শিশু যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আছে।
এ বিষয় মামলার দুই নম্বর সাক্ষী ও বাদীর সবচেয়ে নিকটের প্রতিবেশি বেলি বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মামলার ঘটনা ও সাক্ষী সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমার নাম কে দিল তাও জানি না।’
মামলার বাদী তানিয়া বেগমের মুঠোফোনে কল দিলে তার স্বামী আনিছ মোল্যা ফোন ধরে বলেন, ‘এ বিষয় আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না। এলাকাবাসী যেটা বলে, আপনি সেটা লিখেন। প্রয়োজন হলে থানায় গিয়ে জেনে নেন।’
তদন্ত হবে, মিথ্যা হলে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেই মামলা নেওয়া হয়ছে।