মো.মুকুল হোসেন রিক্ত, কোরকদি ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন বাসীর কাছে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, দলমত ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন ইউনিয়ন বাসির কাছে অপরাজেয় এক আস্থার প্রতীক, তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, এমনকি যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন, বারবার নির্বাচিত হয়ে তিনি তার নিজ পরিষদের সদস্যদের কেই বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
তিনি যখন দেখেছেন অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে তার পরিষদের কোন সদস্য সরকারি সুযোগ সুবিধার কথা বলে নগত অর্থ গ্রহণ করেছেন, সে অর্থ তিনি আবার অসহায় পরিবারকে ফিরিয়ে দিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।সেই সময় স্থানীয় পত্রিকার সহ জাতীয় পত্রিকায় খবরটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
ইউনিয়নের অনুন্নত মৃত শিল্প খ্যাত বাগবাড়ী এলাকার অসহায় রাজকুমার পাল এর কাছ থেকে সেই সময়কার ইউপি সদস্য রউফ মন্ডল টিউবয়েল দেয়ার কথা বলে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া তৎকালীন প্যানেল সোহরাব হোসেনো এক হতদরিদ্র বিধবা মায়ের কাছ থেকে ভাতা কার্ড করে দেয়ার কথা বলে নগদ টাকা গ্রহণ করে, বিষয়টি মুকুল হোসেন রিক্ত জানতে পেরে মর্মাহত হন সেদিন মিডিয়ার সামনেই এই সকল পরিবারকে নগদ অর্থ তিনি নিজের পকেট থেকে ফিরিয়ে দেন।
কয়েকশো বছরের অতীত ঐতিহ্য ভরা শ্যামবাবুর কোরকদী ছিল অনুন্নত আর অবহেলিত, এই কোরকদি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করার জন্য দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন, বাগাট গোরস্থান হয়ে বাশপুর সুইচগেট থেকে মধুখালী পর্যন্ত বিশাল রাস্তায় ব্যাপক দুর্নিত হওয়ার প্রাক্কালে মুকুল চেয়ারম্যান বুঝতে পেরে কয়েকশ সাধারণ মানুষ নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করেন।
তার দাবি ছিল এই রাস্তা দিয়ে আমার এলাকার শত শত মানুষ চলাচল করে কোনভাবেই দুর্নীতি করা যাবে না যে কথা সেই কাজ, তার কঠোর হস্তক্ষেপ এর কারণেই রাস্তাটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, শুধু এই রাস্তা নয় কোরকদি ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট স্কুল মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের এক আধুনিক রূপকার চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত।
এছাড়া বর্তমান কোরকদির সবুজ বাতায়নে ভরপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেের এক অপরূপ সাজের পার্কটি যার অবদানে হাজার মানুষের বিনোদনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, সেই মানুষটি চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত, তৎকালীন কুখ্যাত মিলন বাহিনীর হাত থেকে এই জায়গাটি উদ্ধার করে তিনি সাধারন মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, জাল যার জলা তার এই নীতি কে বিশ্বাস করে তিনি বাশপুর সুইচগেটকে একটি গোষ্ঠীর হাত থেকে উদ্ধার করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
তিনি এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য মুক্তির দুত হিসেবে কাজ করে চলেছেন।
সম্প্রতিকালে কথিত সাংবাদিক ইউনিয়ন পরিষদের অবৈতনিক উদ্যোক্তার কিছু কর্মকাণ্ডের অনিয়ম তুলে ধরে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনকে জড়িয়ে ফেসবুক আইডিতে একটি সংবাদ প্রচার করে, এই সংবাদ টি সাধারণ মানুষের সামনে আসলে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, ইউনিয়নের সুধী সমাজ থেকে শুরু করে কৃষক, শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে, তারা প্রতিবাদ করে এই সংবাদের, নিন্দার ঝড় ওঠে ইউনিয়ন ব্যাপি,ঐ সংবাদের বিরুদ্ধে কেউ কেউ ঐ এনসিপি মার্কা সাংবাদিককে বিচারের কাঠগড়ায় এনে শাস্তির দাবী তোলেন।
সংবাদটির সত্যতা জানতে কোরককি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন পরিদর্শনে গেলে,সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায়, ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ রুস্তম আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত, মানবতার দূত, তাকে নিয়ে সাংবাদিক যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
স্থানীয় যুবদলের সভাপতি জামিরুল বলেন, আমাদের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে যে মিথ্যা রটনা করা হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। ঐ সাংবাদিকের শাস্তির দাবির জন্য আমরা ইউএনও মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি দিব।
কোরকদি মাঝি পাড়ার নিমাই সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন রিক্ত কোন বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা ভিজিডি কার্ডের জন্য কোন টাকা পয়সা কখনো চাননি, তিনি আমাদের কাছে দেব তুল্য, তাকে নিয়ে কোন প্রকার মিথ্যাচার আমরা মেনে নেব না।
একই পাড়ার পূর্ণিমা রানী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান আমাদের কাছে একজন মহামানব। তিনি পরোপকারী আমরা যখন ভিজিডি ভিজিএফ এ চাল আনতে যায়, অনেক সময় তিনি আমাদের ভ্যান ভাড়াও দিয়ে দেন।
উজানদিয়া গ্রামের এক পা পঙ্গু রবিউল সাংবাদিকদের বলেন, মুকুল চেয়ারম্যান আমাকে পঙ্গু ভাতা করে দিয়েছে আমার কাছ থেকে একটি টাকাও নেয় নাই।
এলাকার সুধী সমাজের প্রতিনিধি হাজি ইদ্রিস আলী বলেন, মুকুল চেয়ারম্যান একজন আর্দশমান তাকে নিয়ে মিথ্যাচার অন্যায়। তার সুনামকে নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ এই জঘন্য কাজটি করেছে,আমরা তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রতিবাদ করছি।
ইউপি সদস্য সুবল বিশ্বাস বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান কে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে ঐ ফেসবুক সাংবাদিকের শাস্তিও দাবি করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে উদ্যোক্তা ও সচিবকে শোকজ করেছেন, এমনটি উল্লেখ করা হয়েছেন ওই সংবাদে এছাড়া আরো উল্লেখ করা হয় চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন উধাও, সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধান টিম চেয়ারম্যান মুকুল হাসানের নিজ বাড়ি বাশপুর গেলে তাকে তার নিজ বাস ভবনেই এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে আলাপচারীতে দেখা যায়।
ঘটনার সত্যতা জানতে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সরজমিনে গিয়েছিলাম উদ্যোক্তা ও সচিবকে শোকজ করা হয়েছে এখনো তাদের কাছে কোন চিঠি পৌঁছে নাই।
চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতির কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব ইতিমধ্যেই কিছু কাজ শেষ করেছেন বাকি কাজগুলো চলমান রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমি তো অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মুকুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহীন, আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদও নিন্দা জানাই,