চলে এসেছে নবান্ন উৎসব। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ নিয়ে হেমন্ত ঋতু। কার্তিকের শেষ দিকে ও অগ্রহায়ণের শুরুতেই ফরিদপুরের সালথায় আমন ধান কাটা ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকেরা। গ্রামগঞ্জে চলছে এখন ধান কাটার উৎসব। নতুন ধান ঘরে উঠাতে ব্যস্ত রয়েছে কৃষকরা। পাড়ায় পাড়ায় চলছে নবান্ন উৎসব। মূলত নতুন ধান কাটা আর সেই সঙ্গে প্রথম ধানের অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় এই উৎসব। নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করা হয় পিঠা, পায়েস ও ক্ষীরসহ হরেক রকমের খাবার। জানা যায়, উপজেলাজুড়ে ক্ষেত থেকে প্রায় প্রতিদিন ধান কাটা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো ঘরে তোলার পর তাদের উৎসব শুরু হবে। তাই আনন্দে ভাসছে তারা।
কৃষকেরা ধান কেটে বাড়ি আনার পর কৃষানীরা সেটা পরিস্কার করে রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছে। এই ধান দিয়ে নবান্নের পিঠা তৈরির জন্য ঘরে ঘরে চালের গুঁড়া তৈরি করা হচ্ছে। মেয়ে জামাই, আত্মীয় স্বজন আর পাড়া প্রতিবেশীকে খাওয়ানোর জন্য নানা ধরনের পিঠা ও পায়েস তৈরি করা হবে। এরপর ঘরে ঘরে শুরু হবে নবান্ন উৎসব। উপজেলার কৃষকেরা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেতে ধান খুব ভালো হয়েছে। রোপনকৃত আমন ধান আগেই কাটা শুরু হয়। এখন রোপনকৃত ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
ধানের ফলন খুব ভালো হচ্ছে। প্রতিটি এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ। কৃষকেরা সবাই খুশি। ফরিদপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার জানান, এ বছর উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে চারিদিকে চলছে ধান কাটা ও ঘরে তুলার উৎসব। সবাই আমন ধান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। ধানের ফলন দেখে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।