ঈদের পর থেকেই হু হু করতে বাড়তে থাকে কাঁচা মরিচের দাম। দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম গিয়ে থামে ৬০০ টাকায়। তবে গত ৩ জুলাই ভারত থেকে আমদানির পর দাম কমে দাঁড়ায় ২৪০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে আবারও বাড়তে শুরু করে এই নিত্যপণ্যের দাম। গতকাল বুধবার দাম বেড়ে ৫২০ টাকা হয়। এদিকে ব্যবসায়িরা মরিচের সংকট দেখিয়ে আবারও দাম বৃদ্ধি করেছে।
গতকাল বুধবার মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকা কেজি দরে। মরিচের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ আমদানিকৃত মরিচ বাজারে এলেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ কম থাকায় আমদানি দিয়ে দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সরবরাহ কম হওয়াতে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২৮০ টাকা বেড়ে গেছে। এই সংবাদ শুনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে গিয়ে দেখা যায় বিগত দিনে প্রচন্ড খড়া ও অনাবৃস্টির কারনে মরিচের ধরন কম তাছাড়া গাছ গুলো মরকুটে যার কারনে দেশি মরিচের আমদানী তেমন নাই। যার কারনে দাম বেশী। আবার ভারত থেকে আমদানী মরিচের আমদানী কম হওয়ায় মরিচের দাম বেশী বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই ভোক্তা অধিকারের ও প্রশাসনের যৌথভাবে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট একান্ত প্রয়োজন বলে অতি-দরিদ্ররা জোর দাবী জানান।
গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা একশ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৫২০ টাকা। কামারখালী বাজার ব্যবসায়ী আঃ হাই জানান, ‘পাইকারি মরিচ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সে হিসেবে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন ৫২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’
দাম বাড়ার কথা শিকার করেছেন পাইকার ব্যবসায়ীরাও। কামারখালী বাজারের পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মোঃ মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘কাঁচামালের দাম সরবরাহের উপর ওঠানামা করে থাকে। বৃষ্টির কারণে দেশি মরিচের সরবরাহ কম। ভারত থেকে যে মরিচ আসছে তা চাহিদা পুরণ করতে পারছে না। সরবরাহ কম হওয়ার কারণে পাইকারিতেও কাঁচা মরিচের দাম আবারও বেড়েছে।’