ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এসব মাছের আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে দাবি মাছ চাষির।
সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের লক্ষীকোল গ্রামের মৎস্যচাষি কালাম মোল্লার পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠলে দেখতে পান এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী মৎস্যচাষী কালাম মোল্লা ১ একর ১৪ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন। মৎস্য খামারটি তারা তিন ভাই মিলে দেখাশুনা করেন এবং এই মাছ চাষ করে পরিবারের ভরণপোষণ চালাতেন তারা।
মৎস্যচাষি কালাম মোল্লা প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে মৎস্য খামার থেকে বাড়ী চলে আসে । পরে খাওয়া দাওয়া সেরে সাড়ে ৪ টার দিকে পুকুরের পূর্ব পাড়ে একজন লোক দেখতে পায়। লোকটা কালাম মোল্লাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে পলায়। কালাম মোল্লা পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পায় কিছু মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি। তার প্রজেক্টের পুকুরে কার্ফু, গ্লাস কার্প, সরপুঁটি, কাতল, রুই, ব্রিগেড, সিলভার কার্পসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
কালাম মোল্লা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত মঙ্গলবার ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টার মধ্যে আমার পুকুরে বিষ জাতীয় প্রয়োগ করে পুকুরের সব মাছ মেরে ফেলেছে। পরের দিন বুধবার সকালে পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠা দেখে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই ক্ষতি করেছে আমার। ঋণের টাকা নিয়ে মাছের চাষ করেছি। দূর্বৃত্তরা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো। দিনরাত পরিশ্রম করে এই প্রজেক্ট করে আসছি। এ আয় থেকে আমাদের সংসার চলে। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ দেই। আমার সাথে কি এমন শত্রুতা যে পুকুরে বিষ জাতীয় দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলতে হলো। আমাদের পরিবারের এখন কি হবে। আমি চাই প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার করুক।
প্রতিবেশী সালাম শেখ বলেন, মানুষের মধ্যে শত্রুতা দেখেছি। কিন্তু মাছের সঙ্গে শত্রুতা করে এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম দেখলাম। কে বা কারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। সকালে এসে দেখি পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে আছে। পুকুর পড়ে একটা সদ্য বিষের বোতল পাওয়া গেছে। এভাবে মাছ মারাতে পরিবেশ দুর্গন্ধ হয়ে পরছে।যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।