গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর (মল্লিক পাড়া) গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়ি থেকে তিনটি গরু চুরি হয়েছে। ৫ জুলাই সকালে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই পুলিশ সদস্যের বোন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে পুলিশ সদস্যের মা বাঙ্গালী খবর প্রতিনিধিকে বলেন প্রতিদিনের মতো গতরাতেও আমি গরুর ঘর বন্ধ করে রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে আমি ঘুম থেকে জেগে ঘরের বাহিরে বের হই তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি ভোরে উঠে দেখি গরুর ঘরের দরজার সামনে একটি বাশ রাখা আছে আমার মনে সন্দেহ হলে আমি বাশটিকে টান দিতেই অনায়াসে দরজা খুলে যায় তারপর দেখি ঘরে গরু নেই তখনই আমি চিৎকার দিয়ে উঠলে আশেপাশের প্রতিবেশীরা উপস্থিত হয়।
মোট তিনটি গরু ছিল তার মধ্যে একটি গাভী গরু একটি বকনা বাছুর ও একটি ষাঢ় গরু ছিল। তিনটি গরুর বাজার মূল্য সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। আমার স্বামী একজন কৃষক অনেক কষ্ট করে এই গরু তিনটিকে লালন পালন করেছি এবং আমার এক ছেলে পুলিশের চাকরি করে আমার শেষ সম্বল হারিয়ে আমি এখন খুবই অসহায়ত্ব বোধ করছি। আমার দাবি আমার মত কেউ যেন আর শেষ সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব না হয় তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের নিকট আমার অনুরোধ সঠিক তদন্ত করে এই চুরির সাথে যারা জড়িত তাদের আটক করা হোক এবং আমি আমার হারিয়ে যাওয়ার গরু ফেরত চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক ও যুবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় গরু চুরি সহ অটোরিকশা,ইজিবাইক বিভিন্ন চুড়ি সংঘটিত হয়ে আসছে চোরের উৎপাতে আমরা অতিষ্ঠ কেউ থানায় অভিযোগ করে কেউ করেনা আমরা খুবই আতঙ্কে ও নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে দিন কাটাচ্ছি অনেকে বলেন গরু চোরের ভয়ে আমি এখন গরু পালন করা বাদ দিয়েছি কারণ আমাদের কোন নিরাপত্তা নাই। তারা আরো বলেন কিছুদিন আগে এক রিক্সাওয়ালাকে জবাই করে তার রিক্সা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে কিন্তু সেই হত্যাকারীর আসল চেহারা এখনো বেরিয়ে আসেনি। গরু চুরির বিষয়ে কথা হয় ওই পুলিশ সদস্যের সাথে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন আমি অন্য জেলায় কর্মরত আছি আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহ আপনাদের সকলের সহযোগিতায় গরু চোর মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামান বাঙ্গালী খবর প্রতিনিধিকে বলেন গরু চুরির বিষয়ে আমি জানতে পেরেছি পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছিল সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে গরু চোর আটক প্রক্রিয়াধীন। এর আগে গত ৩০ জুলাই একই এলাকার রসুলপুর গ্রাম থেকে মজিবর মল্লিক (৫৫) এর তিনটি গরু চুরি হয়।
মজিবর মল্লিকের স্ত্রী আছিয়া জানান আমার দুই মেয়ে দুইটা গরু আমাকে দিয়েছে লালন পালন করার জন্য একটি গরু আমাদের তিনটি গরুর দাম আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা এখন শেষ সম্বল হারিয়ে আমি নিঃস্ব প্রায় দুই দিন অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম।
থানায় অভিযোগ করেছি এবং আমি চোরের নামও বলে দিয়েছি পুলিশ চাইলেই এই চোরদের আটক করে ব্যবস্থা নিতে পারেন সেই সাথে আমার হারিয়ে যাওয়া গরু আমি ফেরত চাই। দীর্ঘ অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন তথ্য রসুলপুর গ্রামের একাধিক যুবক সহ অনেকে রয়েছেন যারা মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারি দিনের বেলায় অলস সময় পাস করেন জুয়া খেলেন রয়েছে দামি মোটরসাইকেল তাদের আয়ের উৎস কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসতে পারে চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা কারা।