শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর বাজারে ভয়াবহ আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া বাজার ব্রিজ রোডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে আইপিএস ব্যবসায়ী মাহবুবের দোকানের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৫টার দিকে মাহিয়া ইলেক্ট্রনিক্স এবং বাবুল ইলেক্ট্রনিক্সের মাঝামাঝি প্রথম আগুন দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে। খবর পেয়ে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে আশপাশের ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, ফার্মেসি ব্যবসায়ী আক্তার খান, আইপিএস ব্যবসায়ী মাহবুব, ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী বাবুল, ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইদ্রিস, থাই গ্লাস ব্যবসায়ী নাসির শেখ ও হিরন। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফার্মেসি ব্যবসায়ী আক্তার খান ও ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইদ্রিস। নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়া ইউনিট দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এতে ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। কোন দোকান থেকে প্রথমে আগুন ছড়িয়েছে, তাও জানা যায়নি। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে রয়েছি। শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, নড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস হওয়ায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। আমাদের নেতা একেএম এনামুল হক শামীম এমপি সার্বক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছেন।