গত ৫ ই আগষ্টের পর থেকে সারা দেশব্যাপী চলছে শুদ্ধি অভিযান ও সংস্কার। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরে কর্মরত পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর খোরশেদ এর অবৈধ সম্পদ এর খোজে ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদুক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের দুদকের ডিডি রতন কুমার দাস।
বিভিন্ন অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, টি আই খোরশেদ তার নিজ জেলা রাজবাড়ীর পাংশায় ও ফরিদপুরে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে জানা যায়। ফরিদপুরে তার কর্মজীবন শুরু ২০০৮ ইং সাল থেকে। প্রায় ৮ বছর চাকরি করার পরে ফরিদপুরে ২০১৬ সালে টিআই হিসেবে প্রমোশন পেয়ে ফরিদপুরে ২০২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দুই বছর বিরতীর পরে আবার ২৩ সালে সে চলে আসে পুরাতন কর্মস্থল ফরিদপুরে। তিনি চাকরি জীবনের তিন ভাগের দুই ভাগই ফরিদপুরে কাটিয়েছে সার্জেন্ট এবং টিআই হিসেবে।
আলিপুরের রওশন খা সড়কে সরকারি জায়গা দখল করে রাজবাড়ীর লোক নিয়ে সমিতি করে ১২ তলা বিশিষ্ট রাজবাড়ি টাওয়ার তৈরি করেন, সেখানে ৭ তালায় ও ৯ তলায় দুইটি ফ্লাট রয়েছে যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। শিকদার এন্টারপ্রাইজ নামে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের ঠিকাদারি লাইসেন্স তার নিজের , সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের আমলে গোলাম মোস্তফা নামক লোক দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করিয়েছে খোরশেদ। পাংশায় নিজের নামে রড সিমেন্টের দোকান রয়েছে, ঢাকার খিলক্ষেতে আসকোনা হাজী ক্যাম্পের পাশে পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে ,ঢাকার মোহাম্মদপুর বছিলায় ২১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট আছে, স্ত্রীর নামে রয়েছে ঔষধের প্রতিষ্ঠান , পাংশায় নিজ গ্রামে তিন তলা বাড়ি এবং নিচে রয়েছে ৩০ টি দোকান যার এর মূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা, পাংশায় রয়েছে একশত বিঘার উপরে জমি।
ফরিদপুর শহরের সমস্ত স্ট্যান্ড থেকে (বাস ট্রাক পিকআপ মাইক্রোবাস মাহেন্দ্র সিএনজি লেগুনা অটোরিকশা) থেকে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা আদায় করে এক সার্জেন্ট এর মাধ্যমে। টি আই খোরশেদের অভিযোগের ব্যাপারে ফরিদপুরের দুদকের ডিডি ( তদন্তকারী কর্মকর্তা ) রতন কুমার দাস জানান, টি আই খোরশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানী তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হবার পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাবে না , তদন্ত পূর্বক পরবর্তীতে অনুসন্ধানের বিষয়ে জানানো হবে ।