1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

ফরিদপুরে লাবু চৌধুরীসহ আ.লীগের ৭৭ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার 
  • Update Time : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৩১ Time View

২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সময় ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মারুফ শেখ (১৯)। এ ঘটনার দীর্ঘ ১১ বছর পর পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের ৭৭ জন নেতাকর্মীরা নামে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী একেএম হাবিবুর রহমান হাফিজ। এর আগে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নম্বর আমলি আদালতে নিহতের মা ও উপজেলার মিনার গ্রামের বাসিন্দা ছালেহা বেগম ছলে (৬৪) বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ মামলায় ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া (৪৫) ও তাঁর ভাই তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া, সাবেক পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিঠু, দেলো ফকির, সদ্য বহিষ্কৃত নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান বাবুল কাজী ও সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ৭৭ জন। এছাড়া আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তৎকালীন বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে আসামিরা। এ সময় মারুফ শেখের বুকে গুলি করে কামরুজ্জামান মিঠু নামে ২ নম্বর আসামি। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এতে নির্দেশ দেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ও দেলো ফকির।

তাদের হামলায় সাইফ মুন্সি নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন। ছালেহা বেগম মামলার এজাহারে বলেন, ছেলের হত্যার পর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি এবং পুলিশ জানায় এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে আর কোনো মামলা হবে না। এরপর অনেক বার থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। এ বিষয়ে আইনজীবী একেএম হাবিবুর রহমান হাফিজ বলেন, মঙ্গলবার সকালে মামলার জন্য আবেদন করা হলে তা বিকেল ৪টার দিকে আদালত গ্রহণ করেন এবং মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বরও আদালতে একটি মামলা করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে সেই মামলার আসামির তালিকা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তাতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না থেকেও এবং বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে তা প্রত্যাহার করে নিয়ে নতুন করে এ মামলা করা হয় বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন। এছাড়া তৎকালীন মারুফ হত্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছিল স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা। এ ঘটনায় নগরকান্দা থানা-পুলিশের এসআই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় ১৪৬ জনকে। যাদের সবাই ছিলেন বিএনপি ও হেফাজত ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!