শেখ হাসিনার সাবেক বেয়াই, সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশাররফ ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে শ্রম, প্রবাসী কল্যাণ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
ওই সময় এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনিয়ম, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগের অনুসন্ধান করবে দুদক।
কমিশনের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সোমবার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। ওই সম্পর্কের টানাপড়েনে খন্দকার মোশারফের পদপদবীতেও প্রভাব পড়ে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে। তখন থেকেই তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০৯ সালের নবম জাতীয় সংসদে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের, পরে তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সময়ই ফরিদপুরের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন মোশাররফ।
২০১৫ সালে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে তাকে আর মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি।