1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গায় দুটি বাসের সংঘর্ষে তিন যাত্রী নিহত, আহত ৩০ মুকসুদপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ কোটা সংস্কারের দাবি ফরিদপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৫ কোটা আন্দোলনে অস্ত্রধারী গোপালগঞ্জের হাসান মোল্লা ফরিদপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ২ শিশুকে এসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্কাউটে উদ্বুদ্ধ করতে ছাত্রীদের জন্য হলদে পাখির পোশাক যৌন হয়রানি অভিযোগে প্রধান শিক্ষক টিটন গ্রেফতার বহুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির সংবাদ সম্মেলন ফরিদপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ফরিদপুর মেডিকেলের পরিচালককে প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিকদের সড়ক অবরোধ

সরকারি ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাৎ ইউপি চেয়ারম্যানের

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ১৯২ Time View

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী হারান ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের ৮২ বছর বয়সী কুটি খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। তবুও করেননি বিয়ে। পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন-যাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশীর ঝুপড়ি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন আর সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।

তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পায়নি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকায় তার নামও ওঠেনি বলে জানা গেছে। অসহায় কুটি খাতুন বড় শ্রীবরদী গ্রামের মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মাকে দেখেন না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটা থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিল না। প্রতিবেশীর একটি ঝুপড়ি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্থাহারে কাটছে তার জীবন। ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।

কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির নাসির খান বলেন, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।

অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান সাহেব ফকির বলেন, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিলো। সেই টাকা পাচী ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অসহায় এই মহিলাকে অতি দ্রুত সরকারি ভাতার আওতায় আনা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
Developed By : JM IT SOLUTION