কনে দেখা নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে কনে দেখা নিয়ে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কনে দেখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম চাঁন মিয়া (৩৮)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী গ্রামের বাসিন্দা। বরের ফুফাতো ভাই তিনি। তাঁকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে মধ্য কাইচাইল গ্রামের মো. পান্নু মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের (২৩) সঙ্গে একই উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নাগারদিয়া গ্রামের মো. মিরান তালুকদারের ছেলে শাহ আলম তালুকদারের (২৭) বিয়ে হয়। শাহ আলম তালুকদার বর্তমানে চরযশোরদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে ১৩০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে যান শাহ আলম। খাওয়া শেষে শাহ আলমের ছোট ভাই সজীব তালুকদার কনেকে দেখতে চান। তখন কনেপক্ষের লোকজন জানান, কনে এখনো সাজানো হয়নি, এখন দেখা যাবে না। তখন সজীব বলেন, ‘আমার ভাবিকে আমি দেখব, আপনাদের সমস্যা কি।’ এই নিয়ে কথা—কাটাকাটির মধ্যে বরের ফুফাতো ভাই চাঁন মিয়া এসে উচ্চ স্বরে বলেন, ‘আমাদের বউ আমরা দেখব, কে ফেরাবে, কার এত বড় সাহস।’ এই কথার পর কনেপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁন মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। এরপর বর ও কনেপক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কনেকে নিয়ে বরযাত্রীসহ সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই বাড়ি ত্যাগ করেন বর শাহ আলম তালুকদার। ‘অনেকে বলছেন, বরযাত্রায় মানুষ বেশি যাওয়ায় আমাদের মারধর করা হয়েছে। এ তথ্য ঠিক না। আমাদের সঙ্গে মেয়েপক্ষের কথামতো বরযাত্রী হিসেবে ১৩০ জনই ছিল। তবে খাওয়াদাওয়া শেষ হওয়ার পর বউ দেখা নিয়ে কথা—কাটাকাটি থেকে বিষয়টি চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারধর পর্যন্ত গড়ায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা মারধর করেছেন, তাঁরা আমার শ্বশুরবাড়িরই দূরসম্পর্কের আত্মীয়। এ ঘটনায় আমরা ও আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন লজ্জিত ও বিব্রত। নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।