অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া।
সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫ টায় মুকসুদপুরের কমলাপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। এরপর মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর-বরইতলা সড়কের এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকরা।
এ সময় তিনি ভোটারদের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা ও ভোট পুনঃগণনার জন্য নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষ্পে কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মুহা. ফারুক খানের কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়। এরপর তারা ওই সব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অবস্থান করে জাল ভোট দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে প্রশাসন ও নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং জাল ভোটারদের আটকের পর আবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া আরো বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পরও জনগণ আমাকে মুকসুদপুরের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করি। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর লোকজন এসব অনিয়ম ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়ার ফলে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে তারা রেজাল্ট সিট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে সূ² কারচুপি করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়াও মুহাম্মদ ফারুক খানের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট মো. ইকবাল মিয়া, মো. কাবির মিয়ার মেয়ে তানিমা মাহনুর সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে একই দাবিতে কমলাপুর এলাকার মুকসুদপুর -বড়ইতলা সড়কের উপর দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় তারা ‘ ভোট চোর ভোট চোর,ফারুক খান ভোট চোর ‘ প্রহসনের নির্বাচন মানিনা মানবো না, নির্বাচন চাই নির্বাচন চাই পুনরায় নির্বাচন চাই’ সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয় ।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
গোপালগঞ্জ ১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুহা ফারুক খান ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর তিনি পান ১ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।