প্রেমেরও ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে..”কথায় বলে প্রেমে পড়ার কোনও বয়স নেই, প্রেম চিনেনা জাত স্বজাত। প্রেম করেছে লাইলী মজনু,শিরি ফরহাদ। জীবনের যে কোন পর্যায়ে মানুষ চাইলেই খুঁজে নিতে পারেন নিজের মনের মানুষকে। গল্প, উপন্যাসে, সিনেমায় অসমবয়সি সম্পর্কের কথা উঠে এসেছে। কিন্তু এ একেবারে বাস্তব কাহিনি।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাতৈর বাজারে প্রেমের টানে ৬০ বছর বয়স্কা বিধবা মহিলা ফেরদৌসী বেগমের সাথে ২১ বছরের যুবক মিলন শেখের বিয়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়,ফেরদৌসী বেগম সাতৈর বাজারের সাতৈর ¯øুইস গেটের কর্মচারী আক্কাস শেখের স্ত্রী। তার স্বামী প্রায় ৩ বছর পূর্বে মারা গেছে। ফেরদৌসী বেগমের কয়েকজন পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে, কন্যা ও ছেলেরা বিয়ে করেছেন, নাতি নাতনীও রয়েছে। অপরদিকে মিলন শেখ একই উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কান্দাকুল গ্রামের শাহিদ শেখের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মিলন শেখের সাতৈর বাজারে মুরগীর দোকান আছে। দোকানে আসা যাওয়া নিয়ে এক পর্যায় ওই মহিলার সাথে ভালোবাসা হয়ে যায়, তারপর থেকে প্রায় রাতে মিলন ওই মহিলার ঘরে এসে রাত্রি যাপন করত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গত শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে মিলনকে ফেরদৌসীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকার কিছু পোলাপান ধরে ফেলে। পরে প্রায় ২৫/৩০ জন লোকের উপস্থিতিতে ফেরদৌসী ও মিলনকে কাজী ডেকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ফেরদৌসী বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বয়সে আমার একজন মাথার ছাতা খুঁজে পেয়েছি। অনেকদিন আগে কালেমা পড়ে মিলনকে বিয়ে করেছি। তাই মিলন আমার ঘরে আসতো। মিলনকে ধরে এলাকার লোকজন বিয়ের প্রমাণ দেখতে না পেরে কাজী এনে এক লাখ টাকার দেনমোহরের বিয়ে দিয়ে দিছে।
মিলনের কাছে এত বুড়ো মহিলাকে বিয়ে করার কারন জানতে চাইলে সে জানায়, আমি আমার প্রতিবেশী চাচাতো বোনদের বাসায় যাই ওইদিন ফেরদৌসীর ঘরে গেলে আমাকে প্রায় পঞ্চাশ জন লোক এসে মারধর করতে চায়। আমি নিরুপায় হয়ে মার খাওয়ার ভয়ে দেনমোহরের এক লক্ষ টাকা মহিলাকে নগদ পরিশোধ করে দেই। কাউকে চিন কিনা জানার চেষ্টা করা হলে মিলন বলেন অনেককেই চিনি নাম বললে আমি এখানে ব্যবসা করতে পারব না।
জানতে চাইলে সাতৈর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ শাহিদুর রহমান সজল বলেন,একজন ফোন দিয়ে আমাকে জানালে আমি আমার কার্য নির্বাহী কমিটির এক সদস্যকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি জানান ওদের বিয়ে হয়ে গেছে।