সরকারি প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন করাসহ রাস্তার মাটি কেটে বিল্ডিং নির্মাণ ও কবরস্থানের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ১৩ নং পুইশুর ইউনিয়ন পরিষদের
৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম শিকদারের বিরুদ্ধে ।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার অবর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন তার ছোট ভাই তুহিন সিকদার।।
এলাকার সকলের কাছে তুহিন সিকদার এখনও মেম্বার বলে পরিচিত।
ইউপি সচিব কার্তিক মল্লিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডের নতুন মসজিদ সংলগ্ন এলজিইডির রাস্তা হতে কবর স্থান পর্যন্ত ৪০০ মিটার কাবিখা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। যার বরাদ্দ রয়েছে ৪ টন গম। যার বাজার মূল্য ১ লাখ টাকার কিছু বেশি।
কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোথাও কোথাও সামান্য মাটি দিয়ে চলছে রাস্তার সংস্কার। এ নিয়ে এলাকার বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায় ৪ নং ওয়ার্ডের শাহিন শিকদারের বাড়ির সামনে দিয়ে ঈদগাহের উপর দিয়ে কাশেম সরদার এর ঘর পর্যন্ত নির্মিত রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইউপি মেম্বার শাহ আলম শিকদারের শ্যালক মিন্টু সর্দার। রাস্তার মাটি দিয়ে তিনি বিল্ডিং ভেতরের জায়গা-ভরাট করছেন।
মেম্বারের ভাই তুহিন সিকদার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মিন্টুকে বলেছি পুনরায় আবার রাস্তার মাটি ভরাট করে দিতে। মেম্বারের অনিয়ম এখানেই সীমাবদ্ধ নয়
৪ নং ওয়ার্ডের এলজিইডির রাস্তা হতে মাহবুব শিকদারের বাড়ির মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা নির্মিত হয় বিগত ৮/১০ বছর আগে। ওই একই রাস্তা নির্মাণের কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আনেন এই দুনিতি বাজ মেম্বার । এলাকাবাসীর অভিযোগ সাবেক রাস্তার পুরনো ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে পুরো বরাদ্দের টাকাটাই আত্মসাৎ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ১৩ নং পুইশুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শাহ আলম শিকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের কোন সদুত্তর না দিয়েই আপোষ করার কথা বলেন। এবং রিপোর্টটি প্রচার করতে গণমাধ্যমকে নিষেধ করেন।