পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারাগারে আটক নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবী করে আদালতে মানববান্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ এলাকায় এ মানববন্ধন হয়। মুক্তির জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্বজনরা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নীল ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিনাবিচারে ১৬ বছর ধরে নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বজনদের অভিযোগ, বিগত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকার নীলনকশার অন্যতম অংশ এবং প্রথম গণহত্যা ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। যার দায় চাপানো হয়েছে নিরপরাধ নিরীহ বিডিআর সদস্যদের ওপর। যার ফলে পথে বসেছে হাজারো পরিবার।
এছাড়া হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষ হয়েছে ৫০০ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যের।
তারা আরো বলেছেন, শুধু ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকারের নাটকীয়, প্রহসনমূলক, বিস্ফোরক মামলার কারণে ১৬ বছর ধরে বিনাবিচারে কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। কারাগারে ৫৬ জন নিরপরাধ বিডিআর সদস্য বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন এবং বর্তমানে অনেকেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় কারাগারে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর জামিন শুনানি ছিলো কিন্তু শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত। এ আদেশে ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তী কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবে বলে আদালত প্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা।