শরীয়তপুরের গোসরাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরো তিন জন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন, ঢাকার ধোলাইখাল এলাকার শাজাহান বেপারীর স্ত্রী সাহানা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে জলি আক্তার (২৮)। এখনো নিখোঁজ রয়েছে শাহাজান বেপারীর দুই ছেলে শান্ত (২৬), শাওন (১৮) এবং ভুলু বেপারীর ছেলে হৃদয় (২৪)।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. আব্দুল হাকিম খান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ধোলাই খাল এলাকা থেকে শাজাহান বেপারী তার ছেলে শান্ত’র বিয়ের কথা পাকা করতে স্ত্রী শাহানা বেগম, মেয়ে জলি আক্তার, ছোট ছেলে শাওন, শান্তর বন্ধু হৃদয়, প্রতিবেশী সুফিয়া বেগম, মোহাম্মদ আকাশ এবং পারভীন বেগমসহ মোট ৮জন ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মাঝেরচরের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোসাইরহাটের কোদালপুর ইউনিয়নের পুরাতন লঞ্চঘাটে নেমে মাঝের চরের উদ্দেশ্যে ট্রলারযোগে ফের যাত্রা করে তারা। ট্রলারটি মেঘনা নদীতে আসলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে চালক ও কন্যার চাচাসহ মোট ১১ জন আরোহী ছিলেন।
তাদের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে বর শান্তর মা শাহানা বেগম ও বোন জলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক । তবে বর শান্ত, তার ভাই ও এক বন্ধু এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার আব্দুল হাকিম খান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি। মাদারীপুর থেকে দুজন ডুবুরি এনে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত স্রেত ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা বিঘœ ঘটছে। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখা হবে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, ট্রলারডুরির ঘটনায় মৃত দুই জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে। নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে।