অবকাঠামো থাকলেও শুধুমাত্র জনবল সংকটে ফরিদপুর জেলার তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় জনবল সংকটে ভুগছে জেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো। স্থানীয়দের দাবি, জনবল নিয়োগ দানের মাধ্যমে দ্রুত গ্রামপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার। তবে শীঘ্রই এর সংকট কাটতে পারে বলে মনে করছেন জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। জানা যায়, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নে সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করেন।
এসব স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ৪৮ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এর পদ থাকলেও কর্তব্যরত আছেন মাত্র ১১ জন, আর জেলা জুড়ে ১০৪ টি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৩৫ জন, ৪৮ ফার্মাসিস্টের বিপরীতে রয়েছেন ছয় জন, আইয়া ৩২ জন আর নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছেন মাত্র ২৭ জন। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র গুলোয় জনবল সংকট থাকার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না প্রত্যাশীরা। অনেকে আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার পরে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় এখন আর এসব সেবা কেন্দ্রগুলোর উপর থেকে আস্থা হারিয়েছেন।
তাই এখান থেকে সেবা পাওয়ার প্রত্যাশা ও করেন না। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সেবা প্রদানকারী না থাকায় এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর উপরে আস্থা হারিয়েছে মানুষ। নুরুল্লাহগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কোয়ার্টারে বসবাসকারী ভিন্ন পেশার এক ব্যক্তি জানান, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের জন্যে কোয়ার্টার থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তা দুই থেকে তিনটি সেবা কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় এসব কোয়াটারে বসবাসও করতে পারেন না।
ফলে সব কোয়ার্টারের যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মহতী লক্ষেই সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু জনবলের অভাবে যথাযথভাবে সেবা দিতে না পারায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এসকল সেবাকেন্দ্রের কার্যক্রম। তাই তৃণমুলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে এ সব শুন্যপদ পূরণের মাধ্যমে সেবাকেন্দ্রগুলো সচল করার দাবী জনগণের।কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছেন ফরিদপুরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়োগ সম্পন্ন হলে এ সকল সমস্যা দূর হবে। সুনিশ্চিত হবে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা।