1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিরাপত্তা নিশ্চিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পুলিশের মহড়া সদরপুরে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আলফাডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ধর্ষন চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার বোয়ালমারীতে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু সংবিধান সংস্কারের এখতিয়ার নির্বাচিত সংসদের: বিএনপি বোয়ালমারীতে বিএনপির পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ফরিদপুরে জিয়া সৈনিক দলের ২১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চাঁকায় পৃষ্ট গৃহবধু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ‌আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মধুখালীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, নিহতের পরিবারের দাবি হত্যা

পাকিস্তানের হয়ে যুদ্ধ করেন ফারুক খান, অথচ তিনিও মুক্তিযোদ্ধা

বাঙ্গালী খবর রিপোর্ট
  • Update Time : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৮২ Time View

শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদে কমবেশি ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করেছে মন্ত্রণালয়। তাঁদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে আছেন হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রও। এমন পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের আমলে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদের মধ্যে একজন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। সূত্র জানিয়েছে, তার বিষয়ে আপত্তি দিলেও অন্য সদস্যরা আমলে নেননি। উনি ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে ইতিবাচক মতামত দেওয়া হয়।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) একজন সাবেক সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ২৩ পাঞ্জাব ব্যাটালিয়ন ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ওই ব্যাটালিয়নে ফারুক খান ছিলেন। নিজে বাঙালি অফিসার পরিচয় দিয়ে কোনো মতে জানে রক্ষা পান। ভারতীয় সেনারা ১৫ ডিসেম্বর তাকে দিল্লি পাঠান। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে ফারুককে কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনার হোসেন আলীর দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ১৪ জানুয়ারি বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। তাহলে তিনি মুক্তিযুদ্ধ করলেন কখন?’ শুধু ফারুক খানই নন, এমন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলের অনেক মন্ত্রী ও এমপি।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাতে আবেদন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও তাঁর ভাই জাঁ-নেসার ওসমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বরিশালের সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক এমপি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১১ আসনের সাবেক এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেসসচিব ইহসানুল করিম, সাবেক সচিব খাজা মিয়ার বাবা প্রয়াত সোহরাব হোসেন, জামালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সংস্কার করা হবে। আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে মোট ১৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

১৪ অক্টোবর রাতে ঢাকার সিএমএইচ এলাকা থেকে ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরদিন ১৫ অক্টোবর বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৭ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!