গোপালগঞ্জ-১ আসনে মাঠে নেই জাপাসহ অন্যান্য প্রার্থীরা

গোপালগঞ্জ-১ আসনের মধ্যে নৌকার প্রার্থী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। জেলার মুকুসুদপুর- কাশিয়ানী নিয়ে গড়ে উঠা গোপালগঞ্জ- ১ আসনে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও এখনো পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া ছাড়া আর কেউ মাঠে নেই। আসনটিতে মূলত প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানের নৌকা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া মধ্যে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, জেলার আসনেই নৌকার প্রার্থীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কাবির মিয়া। নজরে পড়ার মত বেশি সংখ্যক ভোটার যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, তা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেবে বলে দলটির নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। গোপালগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরপর পাঁচবারের সংসদ সদস্য ফারুক খান এবার ষষ্টবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাবির মিয়া। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ কারী প্রার্থীরা হলো জাতীয় পার্টির সহিদুল মোল্লা, জাকের পার্টির দেলোয়ার হোসেন, বিএনএফ (তৃণমুল বিএনপি) জাহিদুল ইসলাম, এনপিপির শেখ মো: আবদুল্লাহ। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কারী নাজমুল। তবে এ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেননি বলে জানাযায়। নির্বাচন ঘিরে মুকসুদপুর কাশিয়ানী উপজেলা সদরে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের উপস্থিতি সব সময়ে চোখে পড়ার মতো। গোপালগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার ঈগল মার্কা। আসনটির অন্যান্য প্রার্থীরা কর্মী সংকটের কারনে ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে ঘরে উঠেছে বলে বাঙ্গালী খবরকে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ আসনের একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: কাবির মিয়া। তিনি প্রায় ৫ বছর ধরে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮জন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। ৬ষ্ঠবারের মতো মুহাম্মদ ফারুক খান দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য সকলে চুপ হয়ে গেলেও কাবির মিয়া ছিলেন বরাবরের মতো শক্ত অবস্থানে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া মুকসুদপুর পৌরভার কমলাপুর গ্রামের মিয়া পরিবারের সন্তান। নির্বাচনী এলাকার ভোটোরদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন কালে কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করিনি এমন নজির স্থাপন করতে পেরেছেন বলে ভোটারদের অনেকে মনে করেন। এলাকার সাধারণ ভোটাররা মনে করেন, এবার কাবির মিয়ার ভোট বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেশি হবে। ভোট কেন্দ্রে কেবল ভোটার উঠতে পারলেই ঈগল বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে। গোপালগঞ্জ- ১ আসন ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারে নৌকা প্রতীক অপেক্ষা ঈগল প্রতীক এগিয়ে আছে। এই নির্বাচনী এলাকার ঈগল প্রতীকের কর্মী রতন শহিদুল জাফর বলেছে, সকল কিছু প্রতিহত করে আমরা নির্বাচিত হবো’। জয়ের ব্যাপারে তারা আশাবাদী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাহিদুল মোল্যা কাশিয়ানী উপজেলার বাঐখোলা গ্রামের হারুন অর রশীদ মোল্যার সন্তান। তিনি পেশায় আইনজীবি। । জাকের পার্টি মৎসজীবি ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনী মাঠে নেই বললেই চলে। তার গ্রামের বাড়ী দিগনগর ইউনিয়নের ভাজন্দি গ্রামে। তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম। পিতার নাম লুৎফর রহমান, মুকুসদপুরের মহরাজপুর ইউনিয়নের তরশ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপি প্রার্থী শেখ মো: আবদুল্লাহ এই আসনের ভোটার। গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেশের অন্য আসনগুলোর মতো স্বতন্ত্র প্রতীক ঈগলের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেই নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নিতে হবে। তাতে নৌকার প্রার্থী বারবার নির্বাচিত সাংসদ ফারুক খান চ্যালেঞ্জের মুখে হেরেগেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না। চিরসত্য মেনে নিতে হবে হারজিৎ চিরদিন ছিল, আছে ও থাকবে।