1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

আলফাডাঙ্গায় পাগলী রিক্তার সন্তানের বাবা কে?

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৫৯৫ Time View

রিক্তার স্বজনদের গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রিক্তা নামে এক পাগলী মা হওয়ার ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে, নবজাতক এই সন্তানের বাবা কে? এ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি পাগলী রিক্তার পরিবার ও স্বজনেরা। হতবাক হয়েছে তারা, সেই সাথে হতবাক উপজেলার সুধীমহল। সকলে এই পাগলীর সন্তানের বাবাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
গত ৩০ জুলাই মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলী) রিক্তা বেগমের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক কণ্যা সন্তান। রিক্তা আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল সাতবাড়িয়া গ্রামে মো. হারু শেখের মেয়ে।
সরেজমিনে জানা যায়- হারু শেখ সহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে সবাই ঐ পরিবারে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল)। রিক্তা খানম মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে কখনো বাড়ি কখনো বাজারে থাকে। এ সুবাদে কোন নরপিচাশ পাগলি উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মা ও মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় তিন সন্তান জন্মের পরে হারিয়ে যায়। সাত মাস পার হওয়ার পর ফুফু রীনা বেগম ও প্রতিবেশীরা টের পায়। পরে হাসপাতালে এ্যাবশন করতে গেলে মৃত্যুর ঝুকি থাকায় ওয়াজ করা হয় না। লোক লজ্জা ও সমাজের ভয়ে মুখ খুলতে পারে নাই।
নাম প্রকাশে অনিছুক ব্যক্তিরা বলেন, ঐ পরিবারের পক্ষে গ্রামের কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং এই খবর এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার কিছু মাতুব্বর বলে, গ্রামের কোন লোকের নাম জড়ালে, তাদের গ্রাম থেকে চলে যেতে হবে এমন ভয়ভীতি কথা ইঙ্গিতে বোঝায়। এমন কি গ্রাম থেকে
তাড়িয়ে দেবে? এই ভয়ে পরিবারের কেহই মুখ খুলছে না। জন্মদাতার পরিচয় ঐ পরিবারের আত্মীয় স্বজন এখনো জানতে পারেনি।পুলিশ প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ ঐ সন্তানের বাবাকে খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি এবং সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
টগরবন্ধ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান আসাদ মাস্টার বলেন, ‘আমি ওই পরিবারের পাশে থাকবো। যে কোনো জায়গায় যে কোন আর্থিক খরচ বহন করব। এবং ঐ নরপিশাচকে চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করি।’
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসারস ইনচার্জ ওসি আবু তাহের বলেন, ‘ওই গ্রামে ও পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমি খবর পেয়ে ওই এলাকায় ঐ নরপিশাচকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। শনাক্ত করার জন্য কাজ চলছে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বলেন, ‘সংবাদ পেয়েছি আমি ওসির সাথে কথা বলব। ওদের পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করব। পুলিশ প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করে ওই নরপিশাচকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!