ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা গাজীরটেক ইউনিয়নের রহমান প্রামানিকের ডাঙ্গী গ্রামে নির্মানাধীন ২০০ মিটার এইচবিবি রাস্তায় অত্যান্ত নিম্নমানের ইট ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
নির্মানাধীন রাস্তার তলদেশে ফাঁকা করে নিম্নমান ইট বিছিয়ে কোনোমতে কিছু ভরাট বালু ফেলে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এতে মেইন রাস্তার সাথে গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্য সংযোগকারী নির্মনাধীন এইচবিবি রাস্তাটি কোনো কাজে আসবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির চাপে বা স্রোতের কোপে নির্মানাধীন রাস্তাটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা।
রোববার নির্মনাধীন রাস্তার পাশের এক বসতি শেখ সোলায়মান (৫০) বলেন, “দুই নাম্বার নিন্মমানের ইট দিয়ে আদলা ইট ফাঁকা ফাঁকা করে বিছিয়ে যেভাবে ভরাট বালু ফেলে এইচবিবি রাস্তার নির্মান করা সম্পূর্ণ দেখানো হচ্ছে তাতে সরকারি বরাদ্ধের অর্ধেক কাজও হচ্ছে না এবং রাস্তাটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসবে না”।
অবশ্য, নির্মানাধীন রাস্তার ঠিকাদার ‘ওয়ালী কনস্ট্রাকশন’ এর স্বত্তাধীকারী কাজী বদরুজ্জামান একই দিন জানান, “ নির্মানাধীন রাস্তার ইটগুরো দুই নম্বর ইট এটা আমি স্বিকার করি। কিন্তু এর চেয়ে ভালো ইট দিয়ে এলাকায় কোনো এইচবিবি রাস্তা নির্মান হয় না বলেও তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় অনেক বড় বড় কনস্ট্রাকশনের কাজও এসব দুই নম্বর ইট দিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়েছে”।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্র জানায়, উপজেলা পদ্মা পারের জনগোষ্ঠীর যাতায়াত ব্যাবস্থা সুগোম করার লক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থ উপজেলা এলজিইডি গাজীরটেক ইউনিয়নের রহমান প্রামানিকের ডাঙ্গী গ্রামের শেখ ফিরোজের বাড়ী থেকে কাজেমের বাড়ী পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩১০ ফুট বা ২০০ মিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মান কাজটি টেন্ডারমূলে পান ‘ওয়ালী কনস্ট্রাকশন’ নামক পার্শ্ববতী সদরপুর উপজেলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আর ঠিকাদার কাজী বদরুজ্জামান এ বছর ঈদুল আযহার ১০ দিনের সরকারি ছুটির মধ্যে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা নির্মান কাজটি প্রায় সম্পূর্ণ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে রোববার উক্ত রাস্তার তদারকি কাজে দায়িত্বরত উপজেলা উপ-প্রকৌশলী মোঃ সাইফুদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,“ আমিতো ঈদের ছুটিতে উক্ত রাস্তা পরিদর্শনে যাইতে পারি নাই। তবে নির্মানাধীন এইচবিবি রাস্তায়তো দুই নম্বর ইট ব্যাবহার করার কথা না”। আর একই দিন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস ছাত্তার বলেন, “ নির্মানাধীন রাস্তাটি সম্পর্কে আমার কিছুই জানা হয় নাই। ভাই আপনার কাছে রাস্তায় ব্যাবহৃত ইটের ছবি থাকলে আমার হোয়াটস এ্যাপে পাঠিয়ে দেন”। ফলে উক্ত রাস্তায় ব্যাবহৃত নিম্নমান সামগ্রীর ২৮টি স্থিরচিত্র ও ৫টি চলমান চিত্র এ প্রতিবেদক উপেজলা প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।