ফরিদপুর শহরের রেলবস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে মাদক,দেশীয় অস্ত্র, নারীসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিনগত রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। পরে তাদের ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জেলা সেনা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহরের গুহলক্ষীপুর এলাকার রেলবস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়। সেনা ক্যাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী গোপন খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, শিল্পী বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকাভিত্তিক একটি সুসংগঠিত মাদক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সেখানে নারীদের মাধ্যমে প্রকাশ্যে গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন বিক্রি হচ্ছিল। ভারত থেকে গাঁজা এনে স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছিল বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সেনা ক্যাম্প জানায়, ১৫ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযান চালায়। প্রথম ধাপে সাতজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে বস্তির বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে এবং শিল্পীর বাড়ি থেকে আরও আটজনকে আটক করা হয়। অভিযানে ৪৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৩৩৭টি ইয়াবা, ২১১টি হেরোইনের প্যাকেট, ৬১টি দেশীয় অস্ত্র, দুটি বিদেশি মদের বোতল, নয়টি ফিচার ফোন ও ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদক, অবৈধ অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অপরাধ দমনে সেনা ক্যাম্পসমূহকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়াী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিকেলের মধ্যে মামলা রুজুসহ গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।