পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ-প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়নে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় এবং কীটতত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর অঞ্চলের মোট ১০০ জন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়।
বালাইনাশক ব্যবহারের বর্তমান অবস্থা, বিভিন্ন পোকা বা বালাই দমনে বালাইনাশক নির্বাচনের মৌলিকনীতি সমূহ, বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব, অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের বিকল্প এবং মাঠ পর্যায়ে এই সকল বিপদজনক বালাইনাশকের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে কিভাবে সক্ষমতা উন্নয়ন করা যায় সেই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কর্মকর্তারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা এবং বালাই দমনের বিভিন্ন সমস্যাদি তুলে ধরেন।
তারা বলেন বাংলাদেশে কতগুলি অধিক বিপদজনক বালাইনাশক রয়েছে এবং তাদের বিকল্পসমূহ কি কি হতে পারে সে বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত তাদের কোন ধারণা ছিলনা কিন্তু এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে অধিক বিপদজনক বালাইনাশকের সংখ্যা, মাঠ পর্যায়ে তাদের ব্যবহার, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। এছাড়াও একাধিক বালাইনাশকের মিশ্রণ বা ককটেল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলি, কার্যকর বালাই দমনে স্প্রে ড্রপলেটের ভূমিকা, উত্তম কৃষি পরিচর্যা ইত্যাদি সম্পকেও শিখেন।
প্রশিক্ষনার্থীরা বলেন, বালাইনাশকের উপর এই ধরণের প্রশিক্ষণ তারা এর আগে কখনো পাননি, তাই এক দিনের পরবর্তী আরো বেশি সময় নিয়ে এই প্রশিক্ষণ প্রদানের দাবি জানান। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়। সকাল দশটায় ফরিদপুর অঞ্চলের সম্মানিত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এই প্রজেক্টের টিম লিডার প্রফেসর ড. গোপাল দাস, কীটতত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ একজন বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক হিসাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
এছাড়াও অধ্যাপক ড. মো: রমিজউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো মাহবুবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষন প্রদান করেন ।