ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার লক্ষ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন:
– বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ যৌন সম্পর্ক আর ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যে রাখা হয়নি; বরং এটি আলাদা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে ৭ বছর।
– বলাৎকারকেও ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
– ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচার দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
– শিশু ধর্ষণের বিচার আলাদাভাবে করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান যুক্ত হয়েছে।
আইন সংশোধনের পেছনের কারণ:
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের বিচারের গতি বাড়াতে ও মামলার জট কমাতে এই সংশোধনীগুলো আনা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার সংশোধিত অধ্যাদেশের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, নতুন আইনে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচার আরও দ্রুত সম্পন্ন করার বিধান রাখা হয়েছে।
এই পরিবর্তনগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের কার্যকারিতা আরও বাড়াবে এবং ভুক্তভোগীদের দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।