বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন। মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন। আজ রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
রায় ঘোষণার পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট। এখন সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।”
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আজকের হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়েছে, যা ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটসহ সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখা দেয়, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোড়ন তোলে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই রায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।